দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর পোড়াদহ-খুলনা চলছে ট্রেন

দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর পোড়াদহ-খুলনা চলছে ট্রেন

কুষ্টিয়ার পোড়াদহ স্টেশনে যাত্রীবাহী আন্তঃনগর টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় খুলনার সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া চাকা পুনঃস্থাপন ও মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে।

পাকশী রেল বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন থেকে রুটিন অনুযায়ী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেল স্টেশন এলাকায় চলন্ত অবস্থায় ট্রেনের বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিল। ইঞ্জিন বদলে বিপরীত লাইনে যাওয়ার সময় চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়।

এদিকে পোড়াদহ ট্রেনে কাটা পড়ে সালেহা খাতুন (৫৫) নামের এক বৃদ্ধা মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা কাটদহচর এলাকার খালমাগুরা রেল ব্রিজের সন্নিকটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সালেহা খাতুন মিরপুর উপজেলার হালসা কাটদহচর এলাকার সুজার উদ্দিনের স্ত্রী। আহতরা হলো একই এলাকার ইয়ার উদ্দিনের স্ত্রী সহিদা খাতুন (৫২) ও আলামীরের মেয়ে আলেয়া খাতুন (১০)।

পোড়াদহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় পোড়াদহ জংশনে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। সেই ট্রেনের ইঞ্জিন পোড়াদহ থেকে হালসার দিকে গিয়ে আবার পোড়াদহ ফেরার সময় কাটদহচর এলাকার খালমাগুরা রেল ব্রিজের সন্নিকটে আসলে কাটা পড়ে সালেহা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ সময় আরও দুজনকে গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।