দুই মাসে পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে

আগামী দুই মাসের মধ্যেই পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় এ সিন্ধান্ত হয়েছে বলে জানান টাস্কফোর্সের সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি জানান, সড়ক আইনে গাড়ির মালিকদের চালক ও শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু মালিকরা তা দিচ্ছেন না। আগামী দুই মাসের মধ্যেই পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। মালিক এবং শ্রমিকরা আলোচনা করে ঠিক করবেন কীভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিয়োগপত্র না দিলে কোনো চালককে গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না। লক্করঝক্কর গাড়ির কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী রোধে, এসব গাড়ির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাংসদ শাহজাহান খান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের নিয়োগপত্র তাগিদ সত্ত্বেও দেওয়া হচ্ছিল না। এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দু-মাস পর নিয়োগপত্র আছে কি না সড়কে পরীক্ষা চালানো হবে।
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সবাই সহজে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু বেসরকারি নয়, সরকারি গাড়িগুলোও কীভাবে চলবে, কতদিন চলবে তাও আলোচনায় এসেছে। টার্মিনাল বা নির্ধারিত জায়গা ছাড়া রাস্তায় চাঁদা বা সার্ভিস চার্জ তুলতে দেওয়া হবে না। এর ব্যত্যয় হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ নেবে। আইজিপিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পৌরসভা, সিটি করপোরেশন বিভিন্ন ধরনের টোল আদায় করে। এগুলোও যাতে যত্রতত্র তোলা না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। শুধু লাইসেন্সের সময় নয়, টার্মিনালগুলোতে পর্যায় ক্রমে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। গাড়ি চালানোর আগেই টেস্ট করতে হবে।