দুদকের শুভেচ্ছা দূত পদ হারাচ্ছেন সাকিব

বেটউইনারের সঙ্গে বিতর্কিত চুক্তি, শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে ভিন্ন মাধ্যমে জড়িয়েছে সাকিব আল হাসানের নাম। তারপর থেকেই আলোচনায় দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার থাকতে পারবেন কি না। অবশেষে দুদক আর তাকে দূত হিসেবে রাখছে না।
টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের সঙ্গে ভবিষ্যতে চুক্তি নবায়ন করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আর রাখা হবে না। যদিও চুক্তি অনুযায়ী তিনি এখনো শুভেচ্ছাদূত। তবে ভবিষ্যতে চুক্তিটি নবায়ন করা হবে না।’
আসন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কোনো কার্যক্রমে সাকিবকে রাখা হবে না। সাকিবকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে না রাখার কারণ হিসেবে ড. মোজাম্মেল হক খান বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসান এখন বিতর্কিত। আর কোনো বিতর্কিত মানুষের সঙ্গে দুদক নিজেকে জড়াতে চায় না। তাই সাকিব আল হাসানকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দুদক আর ব্যবহার করবে না। ’
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সাকিবকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে রাখা বা না রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছিলেন দুদক কমিশনার।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানকে শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দিতে চুক্তি করে দুদক। তবে গত আগস্ট থেকেই একের পর এক বিতর্কিত ঘটনায় নাম জড়াচ্ছে টাইগার অধিনায়কের। এ ছাড়া শেয়ারবাজার কারসাজির পাশাপাশি বাবার ভুল নাম দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অনলাইন ভিত্তিক বেটিংসাইট বেটউইনারের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবির তিরস্কারের শিকার হন সাকিব। পরে বিসিবি শক্ত অবস্থান নেয়। তাতে সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন তিনি।