দুমকি হাসপাতালের শত শত খাবার স্যালাইন ডাষ্টবিনে

পটুয়াখালীর দুমকি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শত শত খাবার স্যালাইন ডাষ্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে এ স্যালাইনগুলো ফেলে দেয়ার পর সাধারন মানুষ কুড়িয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নার্সিং ইনচার্জ আয়শা মারজান এ স্যালাইন গুলো বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দেখে ফেললে তিনি ডাষ্টবিনে ফেলে দেন। এসব স্যালাইনের মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
হাসপাতালের এক রোগীর স্বজন ছকিনা বেগম জানান, তিনি গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় দুমকি হাসপাতালের ইনচার্জ (নার্স) আয়শা মারজানকে একটি ব্যাগে করে স্যালাইন নিয়ে যেতে দেখেন। এ ঘটনা অন্য মানুষজনও দেখে ফেললে নার্স আয়শা স্যালইনগুলো পার্শ্ববর্তী ময়লার ডাষ্টবিনে ফেলে দেখতে দেখেছে বলে ছকিনা জানান।
দুমকি এলাকার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব মোসলেম মিরা জানান, ডাষ্টবিনে হাজারো স্যালইন পরে থাকতে দেখে সেখান থেকে ১শ‘ স্যালাইন কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়েছি। স্যালাইনের মেয়াদ দেখলাম ২০২৫ সাল পর্যন্ত রয়েছে, এজন্য একটু বেশি নিয়েছে। অপর বাসিন্দা মিশু মিয়া জানান, হাসপাতালের সমানে দাড়িয়ে দেখি সবাই স্যালাইন কুড়িয়ে নিচ্ছে। তাই আমিও ৫০ পিস নিয়েছি।
এ বিষয়ে আয়শা মারজান জানান, তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা। কেউ তাদের ফাসাতে এ কান্ড ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান।
দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর শহিদুল শাহিন জানান, ইতিমধ্যে স্যালইনের বিষয়ে আয়শা মারজানকে শোকজ করা হয়েছে। এসব স্যালাইন কিভাবে ডাষ্টবিনে গেলা বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।