দুর্নীতির অভিযোগের পর টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ এবং তার স্থলাভিষিক্ত এমা রেনল্ডস

বাংলাদেশে দুর্নীতি ও ব্রিটেনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট গ্রহণের অভিযোগে তীব্র সমালোচনার পর লেবার পার্টির প্রভাবশালী এমপি এবং ট্রেজারি ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উল্লেখ করেন, টিউলিপের পদত্যাগ মন্ত্রিত্বের কোনো কোড লঙ্ঘন করে না। এ বিষয়ে স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, "টিউলিপের আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিভ্রান্তি এড়াতে তিনি পদত্যাগ করেছেন। ভবিষ্যতে তার জন্য মন্ত্রিত্বের দরজা খোলা থাকবে।"
নিজের পদত্যাগপত্রে টিউলিপ জানান, "আমি সবসময় স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। তবে বর্তমানে দায়িত্বে থাকলে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই কারণেই আমি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
টিউলিপের পদত্যাগের পর তার জায়গায় ট্রেজারি ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমা রেনল্ডসকে। তিনি উইকম্বের এমপি এবং এর আগে পেনশন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রেনল্ডসের এই নিয়োগ দ্রুতই সম্পন্ন করে লেবার পার্টি।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, "টিউলিপ ব্রিটেনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আমাদের কর্মসূচি থেকে বিভ্রান্তি দূর করতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার এই উদ্যোগ কৃতজ্ঞতার দাবিদার।"
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ এবং তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে এমা রেনল্ডসের দায়িত্ব গ্রহণ ব্রিটিশ রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।