দেশে ব্রিটিশ আমলের ৩৬৯টি আইন চালু রয়েছে

দেশে ব্রিটিশ আমলের ৩৬৯টি আইন চালু রয়েছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমানে দেশে সাবেক ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের আইন চালু রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে প্রচলিত ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত ও বর্তমানে চালু আইনের সংখ্যা ৩৬৯টি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদের ২০তম অধিবেশনের আজ বৈঠকে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম. আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসময় সংসদে জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তৎপরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে প্রক্লেমেশন অব ইডিপেন্ডেন্স জারি এবং তার ক্ষমতাবলে একই তারিখে জারিকৃত ল’জ কন্টিনিয়েন্স এসফোর্সমেন্ট অর্ডার জারি করে ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত আইনসমূহ অব্যাহত রাখা হয়। পরবর্তীতে পদ বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৯ অনুচ্ছেদ দ্বারা সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে প্রচলিত সকল আইনের কার্যকরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ১৯৭৩ সালে Bangladesh Laws (Revision and Declaration) Act, 1973) প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীনতাপূর্ব আইনগুলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অভিযোজনপূর্বক বহাল রাখা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের সংস্কার, সংশোধন ও আধুনিকীকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ লক্ষ্যে অপ্রয়োজনীয় আইনসমূহ বাতিল, প্রচলিত আইনসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সেগুলো যুগোপযোগী সংস্কার, সংশোধন অথবা ক্ষেত্রমত, নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। 

তিনি জানান, রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ অনুযায়ী বিদ্যমান আইনসমূহ এ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগের প্রশাসনিক এখতিয়ারাধীন। কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ হতে প্রচলিত কোনো আইনকে সংশোধন করার প্রয়োজন হলে বা নতুন আইন প্রণয়ন করতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রেরণ করা লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ হতে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

বিচার বিভাগকে ডিজিটাইজেশন করতে দুই হাজার ২২৬ কোটি টাকার ‘ই-জুডিশিয়ারি’ প্রকল্প বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিচার বিভাগকে ডিজিটাইজেশন করতে দুই হাজার ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ই-জুডিশিয়ারি’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি শিগগিরই একনেক বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিচার বিভাগ ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে। এতে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।