দেড়মাস পর নৌকার নির্বাচনী প্রচারণায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ

মান ভেঙ্গে অবশেষে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছে বরিশাল মহানগর এবং ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা।
মঙ্গলবার বিকেলে থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে লিফলেট বিতরণ করেন । তবে নৌকার প্রার্থী কিংবা তার ঘনিষ্ঠ সমর্থক গোষ্ঠীর সাথে নয়, আলাদা বলয়ে থেকে নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহানগর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতারা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে তার আপন চাচা আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতকে বিসিসিতে মনোনয়ন দেয়ায় মনক্ষুন্ন হয় মহানগর আওয়ামী লীগের পদধারী বেশিরভাগ নেতা। মনোনয়র বঞ্চিত মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ঢাকায় অবস্থান করে ইতিমধ্যে দুই দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নৌকার পক্ষে তৃণমূল কর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা দিলেও তাতে সাড়া পড়েনি। তাদের মান ভাঙ্গাতে সব শেষ গত ২৬ মে জেলার গৌরনদীতে কেন্দ্রিয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। ওই সভার সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি কোন কথায় কান না দিয়ে ভোটারদের দ্বারে যেতে তৃণমূল কর্মীদের আহবান জানান।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ে মহানগর এবং ৩০টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের সমন্বয়ে এক রুদ্ধদ্বার সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নৌকার পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে মহানগর এবং ওয়ার্ড নেতারা আলাদা বলয়ে থেকে নৌকার প্রচারণা চালাবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাজিব।
তিনি বলেন, নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে মহানগর নেতাদের রাখা হয়নি। কোন কার্যক্রমেও প্রার্থী তাদের ডাকেন না। এ কারনে আলাদাভাবে নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত হয় মহানগর আওয়ামী লীগের সভায়।
মহানগর আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে নৌকার প্রচারণা শুরু করেছে তৃনমূল নেতারা। ঘরে ঘরে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়ে নৌকায় ভোট চাইছেন তারা। নৌকার বিজয়ে সর্বশক্তি নিয়োগের কথা বলেন তারা। তৃণমূলের প্রচারনায় নামার মধ্য দিয়ে সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান হলো বলে মন্তব্য তার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিসি নির্বাচনে নৌকার চিফ ইলেকশন এজেন্ট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করীম বলেন, মনোনয়ন ঘোষণার দেড়মাস পর তারা মাঠে নামায় তাদের সাধুবাদ জানাই। মনোনয়ন ঘোষণার পরই তাদের মাঠে নামা উচিত চিলো। বিলম্বে হলেও মাঠে নামায় তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।