ধর্মঘট ডাকার ভিন্ন কারণ আছে

ধর্মঘট ডাকার ভিন্ন কারণ আছে

খুলনা, বরিশাল ও রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে ধর্মঘট ডাক দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা দাবি হিসেবে মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ইজিবাইক ও বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধের কথা বলেছেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এই ধর্মঘট ডাকার পেছনে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণ আছে বলে মনে করছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, অগ্নিসংযোগের ভয়ে সড়কে গাড়ি না নামিয়ে থাকতে পারেন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা।

সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ডাকা ধর্মঘটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতীতে বাসমালিক-শ্রমিকেরা দেখেছেন অগ্নিসংযোগ কাকে বলে। বাস বের হলেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সেই যে আন্দোলন শুরু করেছে, সেটা শেষ করেনি। তারা বলেনি ওই আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, এখন যদি মালিক-শ্রমিকেরা মনে করেন, তাদের বাস, ট্রাক তথা যানবাহনটি (হামলা থেকে) নিরাপদ নয়, তাহলে তারা রাস্তায় নামাতে না-ও পারেন। এ জন্য তো আমরা তাদের ফোর্স (বাধ্য) করছি না। এ ব্যাপারে তারা স্বাধীন, তারা কী করবেন, না করবেন সে সিদ্ধান্ত নেয়ার।

তিনি বলেন, তারা (মালিক-শ্রমিক) যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে মনে করেন বাসটি গেলে আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আগের মতো যেমন বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। সে অভিজ্ঞতা তো রয়েছে। সে অভিজ্ঞতা থেকে তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।

বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের সভা-সমাবেশ করা নিয়ে আমরা কোনো বাধা দিচ্ছি না। যেখানে করতে চাচ্ছে, সেখানেই করছে। এখন বাস আসবে কি আসবে না, সেটা নিয়ন্ত্রণ করে বাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সমিতি। তারা কী করবে না করবে এটা তাদের ব্যাপার।