নিবন্ধন ছাড়াই গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের টিকাদান শুরু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গাজীপুরে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা ডেনিম লিমিটেড কারখানায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা ডেনিম লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান, তুসুকা গ্রুপের উপ-মহাপরিচালক ফিরোজ আহম্মেদ, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার বাংলাদেশের হেড অব কান্ট্রি স্বপ্না ভৌমিক ও কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রামেশ সিং প্রমুখ।
রবিবার টিকাদান শুরু হওয়া কারখানা চারটি হচ্ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের লক্ষ্মীপুরা এলাকার স্পেরো অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোনাবাড়ী এলাকায় তুসুকা গ্রুপের তুসুকা ডেনিম লিমিটেড ও তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড এবং ভোগড়া এলাকার রোজভ্যালী নামের একটি পোশাক তৈরি কারখানা। প্রথমদিন এ চারটি পোশাক কারখানায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিককে এ সেবার মধ্যে আনার কথা রয়েছে। টিকা নেওয়ার পর শ্রমিকরা যাতে বিশ্রাম করতে পারেন, তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানাগুলোতে আলাদা বুথ করা হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স থেকে এ টিকা পাবেন শ্রমিকরা। টিকাদান কাজটা সহজে এবং দ্রুত করার জন্য প্রথম দফায় তাদের রেজিস্ট্রেশন লাগছে না, জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তালিকা করেই প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে এবং পরবর্তী সময়ে সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করে দ্বিতীয় দফায় তাদের টিকা গ্রহণ করতে হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান এই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কারখানাগুলোর শ্রমিক-মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই যেন টিকা পায় সেজন্য এ টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় ৪০০ স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। রফতানিমুখী পোশাক খাতের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এবং এর সাথে যুক্তদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে শতভাগ শ্রমিককে টিকার আওতায় আনতে হবে।
কেয়ার বাংলাদেশ এবং সেবা নারী শিশু ও কল্যাণ কেন্দ্রের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে রয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।