সোনাগাজীর নূসরাত জাহান রাফির মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার পূর্বাপর অনুসন্ধান করে দায় দায়িত্ব নির্ধারণ করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়ন করার জন্যে ৫ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন একসময় বরিশাল মেট্রোপলিট পুলিশের কমিশনার ও বর্তমান ডিআইজি পদমর্যাদার এসএম রুহুল আমিন। গত ৩০ এপ্রিল তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে তেমন কিছু উল্লেখ না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্টাটাস দিয়েছেন। ভোরের আলোর পাঠকদের জন্য সেটি সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হলো।
সোনাগাজীর নূসরাত জাহান রাফির মর্মান্তিক ঘটনা তদন্ত করার জন্য গত ১৬ এপ্রিল তদন্ত কমিটির প্রধান রুহুল আমিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটির প্রধান তার সদস্যদের নিয়ে ১৭ এপ্রিল কাজ শুরু করেন। এসময় তারা ১৩ জন পুলিশ সদস্যসহ মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা, কর্মচারী, ছাত্রী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক মিলিয়ে মোট ৪৭ জনের বক্তব্য গ্রহণ করেন। এসময় তারা ঘটনার আনুষঙ্গিক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট দলিলপত্র সংগ্রহ করেন। সকল সাক্ষ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা শেষে প্রতিবেদন চুড়ান্ত করেন তারা। অবশেষে নির্দেশনার ১৪ দিন পর গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তারা প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান এসএম রুহুল আমি বলেন, ‘মামলার তদন্ত করা আমাদের কাজ ছিল না। ওটি করছে পিবিআইর। এবং যথেষ্ট আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে তারা সেটি করছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
প্রতিবেদনটির বিস্তাারিত এখানে বিবৃত করা অবশ্যই সংগত হবে না বলে জানান কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রধান করার সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর আমাকে দায়িত্ব দেয়ায় অনেকেই আশ্বস্ত হয়েছিলেন। কেউ কেউ সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। আবার কেউ অতীত অভিজ্ঞতা এবং নানারকম অদৃশ্য চাপের কথাও বলেছিলেন।’
এমন শঙ্কা, আশাবাদ প্রকাশকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, নূসরাত হত্যার বিচার বা এ বিষয়ে যাদের দায়িত্বে অবহেলা অথবা গাফিলতি ছিল তাদের বিচার কি হবে সে ব্যাপারে চূড়ান্ত মন্তব্য এখনি করা যাবে না। তবে এটুকু নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে, আমাদের কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং চাপমুক্তভাবেই কাজ করেছে। এবং পুলিশ সদস্য ও তার বাইরেও যাদের দায়িত্বে অবহেলা অথবা অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধেই যথোপযুক্ত শাস্তির সুপারিশ করেছে। এ ধরণের দু:খজনক পরিস্থিতি এড়াতে ভবিষ্যতের করণীয় বিষয়েও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেয়া হয়েছে। এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেই তিনি প্রত্যাশা করেছেন।