ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’ প্রভাব থেকে মানুষ ও সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় কাজে নেমেছেন। মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা দিচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ঘন্টায় ঘন্টায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বৈঠক করা হচ্ছে। চলছে মাইকে প্রচারণা।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) বরিশাল বিভাগের ২৫ হাজার ৫জন স্বেচ্ছাসেবক গত দুই দিন ধরে নিরলসভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রচারণা থেকে জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় জনগণকে সতর্ক করতে অব্যাহতভাবে মাইকিং হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জরুরী বৈঠক করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। বৈঠক সথেকে জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ নাগরিকদের সচেতন করতে নিজে নেমে পড়েনপ্রচারণায় । তার সঙ্গে সাধারণ নাগরিক এবং রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং চালাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা সাধারণ মানুষ ও তাদের গবাাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আগৈলঝারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, ঘুর্ণিঝর ফনি মোকাবেলায় উপজেলায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এরই কাজে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাধারণ মানুষষ কাজ করছে। গতকাল সন্ধ্যার মধ্যে অনেক সাধারণে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আন্ াসম্ভব হয়েছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা নাসরিণ বলেন, গত কয়েকদিনের মাইকিং করায় সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তারা নিরাপদে আছেন।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে সব ধরণের নৌযান চলাচলে দ্বিতীয় দিনেও নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।