নোয়াখালীতে ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু ৩, য়াক্রান্ত ১২৮

নোয়াখালীতে দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের, শনাক্ত হয়েছেন আরও ১২৮ জন। এতে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৩৫ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১৩ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা গেছেন ২৬ জন, সুবর্ণচরে ২ জন, বেগমগঞ্জ ৪৭ জন, সোনাইমুড়ীতে ৮ জন, চাটখিল ১৩ জন, সেনবাগ ১৭ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৪ জন, কবিরহাট ১৮ জন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.মাসুম ইফতেখার আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, 'নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫৪ জন সদর উপজেলার, সুবর্ণচরে তিনজন, হাতিয়া দুইজন, বেগমগঞ্জে ১৯ জন, সোনাইমুড়ীর ৮ জন, চাটখিলের দুইজন, সেনবাগ চারজন,কোম্পানীগঞ্জের তেইশজন ও কবিরহাটের ১৩ জন রয়েছেন। এছাড়াও সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪১০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।'
এদিকে, আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ২৬৮ জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম) ভর্তি রয়েছেন ৪৬ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫ জন।
নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় নোয়াখালী পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপরেই চৌমুহনী পৌরসভা এবং বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আগামী ২ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
এছাড়াও নোয়াখালী পৌরসভা, চৌমুহনী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার নেয়ান্নই, বিনোদপুর, কাদির হানিফ, নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া ও নোয়াখালী ইউনিয়ন, বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন কার্যকর রয়েছে।