পূর্ণিমা, নিম্নচাপ ও অতিবৃষ্টিতে পায়রা নদীর পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

পূর্ণিমা, নিম্নচাপ ও অতিবৃষ্টিতে পায়রা নদীর পানি বৃদ্ধি, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

পূর্ণিমা, নিম্নচাপ ও অতিবৃষ্টিতে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।

অস্বাভাবিক জোয়ারে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দু’উপজেলার ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিনে আমতলী পৌরশহর ও দু’উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, আমতলীর ফেরীঘাট, লঞ্চঘাট, গরুর বাজার, ওয়াবদা ব্লক, আমুয়ারচর, বৈঠাকাটা এলাকার নিম্নাঞ্চল  জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়ায় এলাকায় ভাঙ্গা ভেরীবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

আমতলীর আমুয়ারচরের বাসিন্ধা গৃহবধূ শেফালী বেগম বলেন, জোয়ারের পানিতে মোগো বাড়ীঘর তলিয়ে গেছে। এর লইগ্যা মোগো বেমালা ভোগান্তি পোহাইতে ওইতেছে।

তালতলীর তেতুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্ধা জেলে ফজলুর রহমান রলেন, অতি বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে ভাঙ্গা ভেরীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে আমাদের তেতুলবাড়িয়ার এলাকাসহ আশপাশের ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 


অপরদিকে অতিবৃষ্টিতে আমতলী পৌরশহরের বেশ কিছু নিচু জায়গা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

পৌরশহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্ধা ও এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ ইমরান মিয়া বলেন, অতি বৃষ্টিতে আমাদের বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে থাকায় গত দুই দিন ধরে আমরা খেলাধুলা করতে পারছিনা। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড আমতলী উপজেলার পানি পরিমাপকারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।

বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম পান্না জানিয়েছেন, যে সকল জায়গায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দুর্বল হয়ে গেছে সেগুলো সংস্কার এবং পানি কমে গেলেই তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বাঁধ সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।