ঝালকাঠিতে সুগন্ধা-বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ার এবং বৃষ্টির কারণে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে জেলার চার উপজেলার কমপক্ষে ৩৫টি গ্রাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে কাঁঠালিয়া উপজেলার বিষখালী নদীর অংশে উপজেলা পরিষদ ভবন, নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, আমুয়া, বড় কাঁঠালিয়া, শৌলজালিয়া, কচুয়া ফেরিঘাটসহ পনেরটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া রাজাপুরের বড়ইয়া এলাকার পালট, কাচারীবাড়ি, নাপিতের হাট, চল্লিশ কাহনিয়া, বাদুরতলা ও মঠবাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চলসহ দশটি গ্রাম। নলছিটির বারইকরণ ও ফেরিঘাট এলাকাসহ পাঁচটি গ্রাম এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার কলাবাগান, পোনাবালিয়া, দেউরি, চর ভাটারাকান্দা, দিয়াকুলসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পানি বৃদ্ধির ফলে কৃষি, মৎস্যসহ গ্রামের কাঁচা রাস্তা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, জেলার মধ্যে কাঠালিয়া উপজেলা নিম্নাঞ্চল হওয়ায় একটু পানি উঠলেই উপজেলা পরিষদ তলিয়ে যায়। বন্যাসহ সকল দুর্যোগ থেকে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ রক্ষার জন্য আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর কাজ আগামী শুকনো মৌসুমে শুরু হবে।
এছাড়াও কাঁঠালিয়া উপজেলার নিম্নাংশের বেড়িবাঁধ, রাজাপুর, নলছিটি ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার যেখানে বেড়িবাঁধ নেই সেখানে নতুন করে বাঁধ তৈরি ও অরক্ষিত বেড়িবাঁধের নির্মাণ প্রকল্প শিগগিরই শুরু হবে।