প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা সিটি করপোরেশনের ত্রাণ তহবিলে দান

প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা সিটি করপোরেশনের ত্রাণ তহবিলে দান

নিজের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মো. বাদশা খান। 
 বুধবার বিকেল ৪ টায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের হাতে টাকা তুলে দেন প্রতিবন্ধী বাদশা খান। বরিশাল সিটি করপোরেশনের ত্রাণ তহবিলে অর্থ জমা দিয়ে টাকার রশিদ তুলে দেন করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের হাতে।

ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দেওয়া বাদশা জানান, প্রতিবন্ধী হিসেবে তিনি প্রতিমাসে ৬ শত টাকা ভাতা পান। ৫ মাসের ভাতার তিন হাজার টাকা পহেলা রমজান তিনি উত্তোলন করেন ব্যাংক থেকে। এছাড়া তার হাতে জমানো ছিলো আরো ২ হাজার টাকা। এই মোট ৫ হাজার টাকা গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর সদররোডস্থ জনতা ব্যাংকে সিটি করপোরেশনের ত্রাণ তহবিলের এ্যাকাউন্টে জমা দেন তিনি। নিজে তুলে দেন।
বাদশা বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র বরিশাল নগরবাসীর মধ্যে যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের খাবার দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অর্ধলক্ষ নিম্ন আয়ের পরিবারকে খাবার তুলে দিয়েছেন। প্রতিদিন এই কাজে বিপুল পরিমান টাকা ব্যায় হচ্ছে। সেই ব্যয় বহনের জন্য মেয়র ত্রাণ তহবিল গঠন করেছেন। আর তাকে সহযোগিতা করার জন্য নিজের হাতে থাকা সবটুকু সেই ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। একই সঙ্গে বাদশা নগরীর বিত্তবানদের নগরীর নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড হাজেরা খাতুন স্কুল এলাকায় বাদশা স্ত্রী, কন্যা, মা ভাইদের সঙ্গে থাকেন। নগরীর নথুল্লাবাদ বাসটার্মিনাল সলগ্ন এলাকায় তার একটি দোকান রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে সিটি মেয়রের উদ্বৃতি দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাদশা বরিশালবাসীর গর্ব। শারিরীক প্রতিবন্ধী হয়েও তিনি যে কাজটি করেছেন তা বাকী সবার জন্য অনুকরণীয়। মেয়র মহোদয় বাদশার এই উদ্যোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এবং বাদশার মতো সকলকে ত্রাণ তহবিলে সহায়তাদানে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

উল্লেখ্য গত ৬ এপ্রিল মেয়র নিজ উদ্যোগে ত্রান তহবিল গঠন করে নিজের এ পর্যন্ত প্রাপ্য সকল ভাতাদিসহ মোট ৩৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা তহবিলে প্রদান করেন। এছাড়া মেয়রের আহবানে সাড়া দিয়ে আরো কয়েকজন অর্থ প্রদান করেন। সব মিলিয়ে বুধবার পর্যন্ত তহবিলে ১ কোটি ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা জমা পড়েছে।