প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আগৈলঝাড়ায় আওয়ামীলীগের সভায় বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিশেষ সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত বিশেষ সাংগঠনিক সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈর সভাপতিত্বে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরহাদ তালুকদারের সঞ্চালনায় নেতা-কর্মীদের উদ্যেশ্যে সাংগঠনিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন।
সভায় বর্তমান বছর নির্বাচনী বছর উল্লেখ করে আজকের দিন থেকে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি’র স্বাক্ষরিত দলের নির্দেশনা সম্বলিত পত্র পাঠ করে শোনান সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন।
বিশেষ সাংগঠনিক সভায় আগামী ২৫ফেব্রুয়ারী গোপালগঞ্জের ভাংগারহাটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করনের লক্ষে প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন ইউনিয়নে দলীয় সভা করণসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়।
দলের নির্দেশনা অনুযায়ি যথাযোগ্য মর্যাদায় আগামী ২১ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন, ৭মার্চ দিবস পালন, ২৫মার্চ গণহত্যা দিবস পালন, ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
ওই সভায় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করারও নিয়ে বর্তমান বছরিটিন নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা যে অত্যাচার নির্যাতনের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল বিএনপি-জামাত জোটের প্রতিনিধি হিসেবে ২০০১ সালে নির্বাচনের পর তৎকালীন এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের নেতৃত্বে এই এলাকায় তার থেকেও ভয়াবহ জুলুম-নির্যাতনের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। যা একাত্তর সালকেও হার মানিয়েছে। আজ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম ও প্রচারণা শুরুর কথাও উল্লেখ করা হয় সভায়।
দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আবু সালেহ লিটন আরও বলেন- নির্বাচনের এই বছরটি রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে বিএনপি-জামাতকে বয়কট ও ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিগত বছরগুলোতে নেতা-কর্মীদের সাথে জামাত বিএনপি’ আত্মীয়তার সূত্রতার সখ্যতা পরিহার করে তাদের সাথে চা খাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়। কারন হিসেবে তিনি বলেন- ওরা কাইকে ছাড় দিবে না। দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১বার চেস্টা করা স্বাধীনতা বিরোধী বর্বরেরা আওয়ামী লীগের তৃনমূল পর্যায়ে ছাড় দিবে এমন আশা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা একই কথা।
বিশেষ সাংগঠনিক সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্দা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এসএম হেমায়েত উদ্দিন, মো. রুস্তুম সেরনিয়াবাত, নিত্যানন্দ মজুমদার, আব্দুস ছাত্তার মোল্লা, আবুল বাশার হাওলাদার, বিপুল দাস, গোলাম, মোস্তফা সরদার, মাইকেল মালাকার। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন বসু, দপ্তর সম্পাদক নিখিল সমদ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রিয়াজ হোসেন, রেমন ভূইয়া, সহ দপ্তর সম্পাদক প্রদীপ কুমার লাহেড়ী উজ্জল দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।