পড়ন্ত বিকেলে কীর্তনখোলার পাড়ে ইফতার

পড়ন্ত বিকেলে কীর্তনখোলার পাড়ে ইফতার

ব্যস্ত এ নগরে কোলাহলের ভীড়ে সারাদিন কাঠফাটা রোদের ক্লান্তিতে পড়ন্ত বিকেলে নদীর পাড়ে ইফতার এ যেন এক সজিবতার ছোয়া। এখান কার দোকানগুলোও তেমনী রোজাদারদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছে। বলছি বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর পাড় ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন এলাকার কথা।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কীর্তনখোলা নদী পাড় জুড়ে ইফতারের আয়োজন দেখা যায়। পুরো রমজান মাসে জুড়ে এ ইফতার আয়োজন থাকলেও শেষ সময়ে জমে উঠেছে কীর্তনখোলা নদী পারে ইফতার সামগ্রী বিক্রি।

গতকাল শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, বরিশাল নদীর পারে সিঙারা পয়েন্ট খ্যাত এলাকা জুড়ে ইফতার করার প্রকৃতিপ্রেমীদের এ ভিন্ন ধর্মী আয়োজন। নদীর পার জুড়ে চার দোকানির  ইফতার সময়ের আগে পরে ইফতার করার জন্য চেয়ার টেবিলে বসে আছে অসংখ্য মানুষ । নদীর পাড়ে বসে ইফতার করার মজাই আলাদা জানায় বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন। তিনি আরও জানান বন্ধুদের নিয়ে একসাথে আড্ডাছলে ইফতার করতে এখানে আসা যায়। তবে জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা কীর্তনখোলা নদীর পারে বন্ধুদের ৩০ জনের বহর নিয়ে বসেছে ইফতার করতে।রায়হান সাজিদ জানান অধিকাংশ বন্ধুরাবরিশালের বাইরে ভিন্ন জায়গা উচ্চ শিক্ষার কারণে থাকি মিট আপ আর ইফতার পার্টি একসাথে করতে এখানে আসা তবে যতটুকু শুনে এসেছি তার চেয়েও অনেক বেশি ভালো লাগছে নদীর পারে ইফতার করতে পেরে। ইফতার সামগ্রীর দোকানী মোঃবশির জানান এখানে আমরা রমজান মাস ছাড়া সিঙরাই বেশি বিক্রি করি তবে করোনা কাটিয়ে এখানেই আমরা ইফতার করার ব্যবস্থা করেছি আমার এখানে বসার জন্য ৩৫০ জনের ব্যবস্থা থাকলে ইফতার ক্রেতার চাপ বেশি থাকে আর স্বল্প খরচে এখানে ইফতার করা যায়। প্রায় অর্ধ কিলোমিটার জুড়ে কীর্তন খোলা নদীর পারে এমন ইফতার করার আয়োজনে দোকানি লিটু জানান আমরা নদীর পারে চেয়ার টেবিলে ইফতার করার জন্য শুধু বসার ব্যবস্থা করায়ই প্রকৃতি প্রীয় মানুষ পছন্দ করেছেন।তবে আমরা এখানে ইফতার সামগ্রী তৈরিতে বাসি পঁচা খাবার বিক্রি করিনা। লোকমান জানান আমার এখানে ১০০ জনের বসার ব্যবস্থা তবে রমজান মাসের শেষ সময়ে অনেক দাড়িয়েই ইফতার সেরে নেয়। দোকানী মোঃ খালেক দোকানে ৫০ জনের বসার ব্যবস্থা তবে ক্রেতার চাপ বাড়ায় তিনি ডেকোরেটর থেকে টেবিল ভাড়া করে এনেছে।

আর দোকানী চুন্নু এর দোকানে ৭০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে রমজান জানান  এখানে বুকিং এর কোন বিষয় না থাকলে ইফতার সময়ের আগে চেয়ার গুলো বুক করে বসে থাকে মানুষজন।সরজমিন দেখা যায় প্রতিটা দোকানেই ফ্রীজ ভরা পানি, সড়বত, জুস, কোল্ড ড্রিংকস ক্রেতারা ইফতার এর আগে নিয়ে টেবিলে রেখে দেন এবং চার দোকানের সামনেই এমন দৃশ্য দেখা যায়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠাবে চাকরিরত সাদমান সাকিব জানান ফেসবুকে কীর্তন খোলা নদীর পাড়ে ইফতারে এ আয়োজন দেখেছি আজ ছুটি তাই বন্ধুদের সাথে নিয়ে আড্ডার ছলে ইফতার করেছি খুব ভালো পরিবেশ। নদীর পাড়ে একদল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান ঈদের আগে বরিশালের রেস্টুরেন্টে ও হোটেল গুলো সব বুক তাই নদীর পাড়ে আমরা ব্যাচমেটরা এতো সুন্দর স্থান খুঁজে নিয়েছি।নদীর পাড়ে বিশাল অংশজুড়ে  ইফতারে এ বিক্রিতে বশিরের পরিসর টা বড়ো তার দোকানে ১৫ জন কর্মী কাজ করে  তার দোকানে ভীড় বেশি আর বছর জুড়ে বশির সিঙারা বিক্রি করে।