ফার্মাসিস্টদের দ্রুত নিয়োগ দেয়া হবে

ফার্মাসিস্টদের দ্রুত নিয়োগ দেয়া হবে


বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তরা বলেছেন, উন্নত বিশ্বে হসপিটাল ফার্মেসি ছাড়া কোন হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল বলে স্বীকার করা হয় না। কারণ অসুখ সারাবে ওষুধ, তা খেয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তা কেউ চাইতে পারে না। এজন্য ডাক্তার-নার্স ও ফার্মাসিস্টদের সমন্বয়ে হাসপাতালগুলোতে কার্যকর স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করা উচিত। আমাদের সিএমএইচগুলোতে হসপিটাল ফার্মেসি বা ফার্মাসিস্ট থাকলে জাতিসংঘ এইখাত থেকে আরো অধিক সংখ্যক লোক নিয়োগ করতে পারত।

সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ন্ত্রণে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রথম শ্রেণির ফার্মাসিস্টদের শূন্য পদগুলো পূরণে দ্রুত নিয়োগ করা হবে। 

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ আশ্বাস দেন। 'সেফ এন্ড ইফেক্টেভি মেডিসিন ফর অল' শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরাম। 
সভায় সবার জন্য নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। আরো বক্তব্য রাখেন রুবিনা মীরা এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, এম মোসাদ্দেক হোসেন, অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক সেলিম আজাদ চৌধুরী, ওষুধ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ আলী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান তানভীর। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হারুন অর রশিদ।
সভায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, হাসপাতালগুলোতে কার্যকর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তার-নার্স ও ফার্মাসিস্টদের সমন্বয়ে হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্য সেবা পরিচালিত হওয়া উচিত। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে এভাবে পরিচালনা করতে হবে। এজন্য যা করা লাগে করা হবে। সরকার যাতে উদ্যোগী হয় তার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তিনি আরো বলেন, দেশে এখন অনেক রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ফার্মাসিস্টদের সরকারি রেজিষ্ট্রেশন পেতে ৭-৮ বছর লেগে যেত। এখন একজন অনার্স গ্র্যাজুয়েট তার সার্টিফিকেট দেখিয়ে পরীক্ষা ছাড়াই ফার্মাসিস্ট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছেন।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, উন্নত বিশ্বে হসপিটাল ফার্মেসি ছাড়া কোন হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল বলে স্বীকার করা হয় না। ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা চল্লিশ বছর ধরে প্রতিটি হাসপাতালে হসপিটাল ফার্মেসি চালুর দাবি করে আসছি। কারণ অসুখ সারাবে ওষুধ, তা খেয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবে-তা কেউ চাইতে পারে না। আমাদের সিএমএইচগুলোতে হসপিটাল ফার্মেসি বা ফার্মাসিষ্ট থাকলে জাতিসংঘ এইখাত থেকে আরো অধিক সংখ্যক লোক নিয়োগ করতে পারত।