বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নয়, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম

“বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এ দেশ উন্নত হয়ে যেত
ববিতে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ”
বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নয়, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শের নাম। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তাঁর এই আদর্শ ও চেতনা বেঁচে থাকবে। তিনি ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
গতকাল বুধবার বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কীর্তনখোলা মিলনায়তনের ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে উপস্থিত সবাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের যে সকল সদস্য ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শোক দিবসের আলোচনায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর একটি ভাষণের মাধ্যমে ৭ কোটি বাঙালিকে একত্রিত করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা তো সেদিনের সেই ভাষণের মাধ্যমেই হয়েছে। তাই আজকে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু বেঁেচ থাকলে অনেক আগেই এ দেশ উন্নত হয়ে যেত। বঙ্গবন্ধু সমাজকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। তাঁরই দেখানো পথে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আর এই উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করতে তিনি তারুন্যকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কেননা তরুনরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তরুনরাই পারবে একটা জাতি এবং সমাজকে পরিবর্তন করতে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে হৃদয়ে লালন করি তারা ১৫ আগস্টের এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে আসি এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।
আলোচনা সভায় যোগদানের পূর্বে মেয়র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ছয় দফার ইতিহাস সম্বলিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভের পাশে বৃক্ষরোপন কার্যক্রমে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান। বিশেষ আলোচক ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক বাহাউদ্দীন গোলাপের সভাপতিত্বে শোকাবহ আগস্টের আলোচনা ও স্মরণানুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র সহধর্মিনী লিপি আবদুল্লাহ, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংস্কৃতিজন অ্যাড. এস এম ইকবাল, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ।
অনুষ্ঠানে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সম্মানিত ডিন, চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, প্রভোস্ট, পরিচালক, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, দপ্তরপ্রধানগণ, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক আবু মো. বশির, মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার, মো. জুয়েল মাহমুদ, মো. হারুনর রশীদ, মো. আরিফ হোসেন, শহাজাদা খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আরিফ হোসেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর মিয়া, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দীন আহমেদ সিফাত, ছাত্রলীগ নেতা মো. আল আমিন, মো. লোকমান হোসেন, গ্রেড ১১-১৬ এর সাবেক সভাপতি মো. নাদিম মল্লিক, গ্রেড ১১-১৬ এর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বনী আমিন, গ্রেড ১৭-২০ এর সাবেক সভাপতি মো. পারভেজ ও ইলিয়াস কাঞ্চন। আলোচনা ও স্মরণানুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের অন্যতম সদস্য সৈয়দা ফাতেমা মততাজ মলি।