বঙ্গবন্ধু ফুটবলে দেশ সেরা বরিশাল কিশোর দল

বঙ্গবন্ধু ফুটবলে দেশ সেরা বরিশাল কিশোর দল
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বরিশাল বিভাগ দল।  সেরা গোলদাতাও তারা। অবিশ্বাস্য এই দলটির পেছনের গল্প লিখেছেন ভোরের আলোর সম্পাদক -সাইফুর রহমান মিরণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ ১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টের দেশ সেরা হয়েছে বরিশাল বিভাগ। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে প্রতিযোগিতা করে করে বরিশাল বিভাগ সেরাদের সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল খেলা শেষে তাদের হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি তুলে দেন। বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনের কারণ জানতে গিয়ে অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ভোরের আলোর পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্য তথ্য উপস্থাপন করার ক্ষুদ্র চেষ্টা।

গত প্রায় এক বছর ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য কাজ শুরু করে বরিশাল জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সেরা খেলোয়াড়দের বাছায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে টুর্নামেন্টের ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে। পরে উপজেলায় বিজয়ী ও বিজিত, জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের সেরা খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। তাদের ক্যাম্পে রেখে অনুশীলন করানো হয়েছে। সেখান থেকে ৮০জনকে বাছাই করা হয়। পরে সেখান থেকে ৬০জনকে নিয়ে ১৫দিনের ক্যাম্প করা হয়। ওই ৬০ জনের মধ্য থেকে ২০জনকে নিয়ে চূড়ান্তভাবে বরিশাল বিভাগের দল ঘোষণা করা হয়। পরে চূড়ান্তভাবে ১৮জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টে নেওয়া হয়। এই সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে ১৪জন তাঁদের ক্রীড়া নৈপুন্য দেখিয়ে দেশ সেরা সম্মান অর্জন করে।

রাশেদুল ইসলাম রাশেদ: বরিশাল দলের ক্যাপ্টেন মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। সে এখন দেশ সেরা ক্যাপ্টেন। পাড়া থেকে ফুটবল শুরু হলেও কয়েক বছরের মধ্যে বরিশাল স্টেডিয়ামে জায়গা করে নেয় রাশেদুল। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি রাশেদুলকে। ২০১৫ সালে প্রথম ঢাকার স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ ঘটে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজিত সেইলর কাপে বরিশালের হয়ে খেলে রাশেদুল। ২০১৬-২০১৭ সালে পায়নিয়ার ফুটবল লীগে খেলার সুযোগ ঘটে তার। ২০১৮ সালে অনুর্ধ-১৮ দলে বরিশাল বিভাগের হয়ে ঢাকায়  খেলে। একই বছর তৃতীয় বিভাগ লীগের হয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু স্টেয়িামে খেলে রাশেদুল। ২০১৯ সালে শেখ জামাল ক্লাবের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেল রাশেদুল। ওই মচে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বও পালন করে রাশেদ। এরপর বরিশালে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ ১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টে খেলা শুরু। বরিশাল সিটি করপোরেশনের হয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের ট্রফি জেতেন। এরপর বরিশাল সদর উপজেলা দলের ক্যাপ্টেন হন। জেতেন সেখানে। জেলার পর বিভাগেও সেরা হয় রাশেদুলের দল। পরে বরিশাল বিভাগের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় পর্যায়েও সেরা দলের স্বীকৃতি এবং চ্যাম্পিন ট্রফি পান। সেরা ক্যাপ্টেন এবং ফাইনাল খেলায় ২টি গোল করে দ্বিতীয় সেরা গোল দাতার কৃতিত্বও অর্জন করেন রাশেদুল।

বরিশাল নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন বয়েজ স্কুলের শিক্ষার্থী। ছোট বেলা থেকে ফুটবলের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। পড়াশুনা বাদ দিয়ে খেলার প্রতি আগ্রহ কোনভাবেই মানতে পারছিলেন না বাবা মো. মফিজুদ্দিন হাওলাদার। এক পর্যায়ে ছেলের খেলার প্রতি আগ্রহ দেখে উৎসাহ দেন। তবে সব সময় উৎসাহ দিয়ে পাশে থেকেছেন এবং এখনো আছেন মা মোসাম্মৎ নার্গিস বেগম।

বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল দলের বরিশালের ক্যাপ্টেন মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ভোরের আলোকে বলেন, ‘সেরা খেলোয়াড়দের টিমের ক্যাপ্টেন হতে পেরে আমি গর্বিত। দলের সবাই প্রতিটি ম্যাচে নৈপুন্যের সঙ্গে খেলেছে। দলের প্রতিটি সদস্য এবং ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক আমদের চ্যাম্পিয়ন হতে সহযোগিতা দিয়েছে। এইভাবে সুন্দর পরিবেশ থাকলে আগামীতে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মান অর্জন করতে পারোব’।

বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল দলের বরিশাল বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়েই থামেনি। সেরা গোলদাতার পুরষ্কারও বরিশাল বিভাগের ঝুলিতে। সেরা গোলতাদা হয়েছে বরিশাল বিভাগীয় দলের খেলোয়াড় মো. গোলাম রাব্বি।

মো. গোলাম রাব্বি: ঢাকা বিকেএসপির ছাত্র এবং বরিশাল নগরের কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা গোলাম রাব্বির শখ ছিল ফুটবলার হবার। এনজিও কর্মী মো. শহীদুল ইসলাম স্বপনের স্বপ্ন ছিল ছেলে ক্রিকেট খেলবে। তাই নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলতে শুরু করে রাব্বি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাড়ায় ক্রিকেট খেলতো রাব্বি। ২০১৪ সালেও বরিশাল স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলেছে সে। বরিশাল স্টেডিয়ামের ফুটবল খেলোয়াড় মো. মোস্তাফিজুর রহমান তাকে ফুটবলের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। তবে বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পর তার ইচ্ছা পুরণ শুরু হয়। ওই বছরই বরিশালের উদ্বাস্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণ। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে রাব্বি। ২০১৬ সালে অনুর্ধ-১৫ দলের ক্যাম্পে ডাক পায় রাব্বি। ২০১৭ সালে বিকেএসপির আয়োজনে ৮ বিভাগের মধ্যে অনুর্ধ-১৪ ফুটবল অনুষ্ঠিত হয়। রাব্বি ওই টুর্ণামেন্টে বরিশালের হয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছায়। ওই বছর বরিশাল বিভাগ রানার আপ হয়। ২০১৮ সালে যুব গেমসে অংশ নিয়ে বরিশালের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলার গৌরব ছিল রাব্বির। এবছরও রানার আপ হয় বরিশাল। ২০১৮ সালে বিকেএসপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ -১৮ ফুটবল টুর্ণামেন্টে তৃতীয় হয় রাব্বির দল। খেলেছে ঢাকার শেখ জামাল, শেখ রাসেল, আবাহনীসহ জাতীয় সব ক্লাবের সঙ্গে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৫ দলের হয়ে সাউথ এশিয়ান ফুটবল গেইমসে অংশগ্রহণ করে। ভারতে অনুষ্ঠিত ওই খেলায় বাংলাদেশ দল ভুটান, ভারত, শ্রীলংকা এবং নেপালের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৮ ক্যাম্পে ডাক পায় রাব্বি। এরপর বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল দলের হয়ে খেলা শুরু। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে গৌরব অর্জন করে রাব্বি। বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় তিন গোল দিয়ে সেরা গোল দাতার পুষ্কারও পান রাব্বি।

বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল দলের বরিশালের খেলোয়াড় ও সেরা গোলদাতা মো. গেলাম রাব্বি ভোরের আলোকে বলেন, বরিশাল দলের ম্যানেজার, কোচ, ক্যাপ্টেন এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো থাকায় ধারাবাহিকভাবে সেরা খেলা দিয়েছে সবাই। যার ফল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। ফুটবলের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে রাব্বি।

বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুররী এবং জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহযোগিতা টিম গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর সঙ্গে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও বিসিবির পরিচালক আলমগীর খান আলো এবং বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু সহযোগী হয়ে পাশে ছিলেন।

খেলোয়ার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের পরামর্শে বরিশাল জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্টের জন্য দল গঠন করেছে। পাঁচ সদস্যর একটি নির্বাচক কমিটি করে দেওয়া হয়। ওই কমিটির সদস্য ছিলেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা হুসাইন আহম্মেদ, বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টীমের ম্যানেজার ও বরিশাল জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম লিমন, সাবেক ফুটবলার ও বর্তমান বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল দলের কোচ মো. মনিরুল ইসলাম, বরিশাল জেলার সাবেক ফুটবলার জোতিন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম।

জাতীয় পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যানেজার, কোচ, ক্যাপ্টেন, সেরা গোলদাতা এবং সব খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় থাকা, শৃঙ্খলাবোধ এবং খেলায় নৈপুন্যতাই সেরা হওয়ার গৌরব বলেছেন সবাই। তবে ক্যাপ্টেন, সেরা গোলদাতা এবং কোচের রয়েছে উজ্জল গৌরবের ইতিহাস। বয়স কম হলেও এদের ঝুলিতে আছে অনেক সম্ভাবনার গল্প।

বরিশাল দলের কোচ সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় মো. মনিরুল ইসলাম নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে চলেছেন ফুটবলের জন্য। বরিশালে ফুটবল দল গঠনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তার। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ের প্রতিটি খেলা দেখে সেখান থেকে সেরা খেলোয়াড়দের একত্র করেছেন। তারপর কয়েক দফা ক্যাম্প করে তাদের অনুশীলন করিয়েছেন। পরে ২০ জনের একটি দল গঠন করেন বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য।

 বরিশাল দলের কোচ মো. মনিরুল ইসলাম ১৯৮০ সাল থেকে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮১, ৮২, ৮৩, ৮৪ এরশাদ কাপ অনুর্ধ-১৪ ফুটবল টুর্ণামেন্টের খেলার অভিজ্ঞতা। ১৯৮৪ সালে জাতীয় ক্যাম্পে ডাক পান। ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিকেএসপিতে ভর্তি। ১৯৮৭ সালে বিকেএসপির হয়ে অল ই-িয়া গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্টে র্অশগ্রহণ ও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে ভারতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মাঠে মোহামডোন ক্লাব মাঠ, যাদবপুর স্টেডিয়াম এবং দমদম স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের হয়ে অংশগ্রহণ। ১৯৯০ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের আবাহনীর হয়ে নিয়মিত খেলেছেন তিনি। ১৯৯১ সালে ভারতে আসাম গোল্ডকাপে বাংলাদেশ দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ। সেখানে চ্যাম্পিয়ন দল হয় বাংলাদেশ। ১৯৯৪ সালে হাঁটুর ইনজুরীর কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি খোলোয়াড় গড়ার কাজে মন দেন। ২০১৯ সালে কোচ হিসেবে এএফসি(সি) লাইসেন্স পান। 

বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল দল গঠনের ক্ষেত্রে বরিশাল জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাকে দায়িত্ব দেয়। সেই দায়িত্ব তিনি যথাযথভাবে পালন করেছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দেশ সেরার ট্রফি অর্জন করেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ৫০০ খেলোয়াড় থেকে সেরা ২০জনকে বাছাই করে বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ দল গঠন করা হয়। যার মধ্য থেকে ১৮জন ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড়রা সেরা খেলা উপহার দেওয়ার কারণে বরিশাল বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই দলটিকে একত্র করে মাঝে মাঝে অনুশীলন করানো দরকার। তাহলে ওরা আগামীতে আরো ভালো খেলা উপহার দিতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু অনুর্ধ-১৭ ফুটবল টীমের ম্যানেজার ও বরিশাল জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম লিমন ভোরের আলেকে বলেন, বরিশাল বিভাগের দল গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চিন্তা ছিল না। বরিশাল বিভাগের সব জেলার সেরা ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয় টিম গঠন করা হয়েছে। যারা এই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন তারা কানভাবে প্রভাবিত হয়ে খেলোয়াড় বাছাই করেননি। আমরা সেরাটা বাছাই করতে পেরেছি। আর সেরা খেলোয়াড়রা সেরাটা দিয়ে লড়েছে। তাই বরিশাল দেশ সেরার গৌরব অর্জন করেছে। এই ধারা অব্যহত রাখতে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে রাখা দরকার। তাহলে আগামীতে আরো উজ্জল সম্ভাবনা জাগাতে পারবে।