বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদন

বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদন

দেশে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্সের প্রাণিদেহে ট্রায়াল সফল হয়েছে। এখন তা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)। 

মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকা প্রয়োগের নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আজ। এখন আমরা ক্লিনিক্যালের অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করব। অনুমোদন পেলেই বঙ্গভ্যাক্স টিকা মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করব।’

এই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে পরীক্ষা শুরু করে, যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড) দিয়ে তৈরি। তাই এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি এক ডোজের। এটি অনুমোদন পেলে বিদেশেও চাহিদা তৈরি হবে।

গ্লোব বায়োটেকের দাবি, প্রাথমিক ফলাফলে এই টিকা ডেল্টাসহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ১১টি ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর। 

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে ৩ মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের ৩টি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ ৩টি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় আছে।