বরগুনায় তালিকায় নাম থাকলেও চাল পাচ্ছে না মৎস্যজীবীরা

বরগুনায় তালিকায় নাম থাকলেও চাল পাচ্ছে না মৎস্যজীবীরা

চেয়ারম্যানের নির্বাচন না করায় আওয়ামীলীগের সমর্থক মৎস্যজীবীরা সরকারী তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এমন ঘটনা বরগুনা সদরে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে। মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে বিভিন্ন সময় মাছ ধরা বন্ধসহ সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার সময় যেসব সহায়তা দেওয়া হয় তার কিছুই পাচ্ছেনা ওই ইউনিয়নের  ১৭ জন মৎস্যজীবী। আবার যাদের তালিকায় নাম নেই তারাও সরকারি সহায়তা পাচ্ছে এমনই অভিযোগ করেছেন জাঙ্গালিয়া গ্রামের একাধিক মৎস্যজীবী চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত ০৬ এপ্রিল ওই ইউনিয়নের ৬৩৪ জন জেলেদের মধ্যে খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণের কথা থাকলেও চাল পায়নি ১৭ মৎস্যজীবী। প্রত্যেক জেলেকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু ৬১৭ জেলেকে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৭ জেলের ৮০ কেজি করে  মোট ১ হাজার ৩৬০ কেজি চাল চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন।

আরও জানা যায়, প্রকৃত জেলেদের নাম বাদ দিয়ে যারা মাছ শিকারের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন চেয়ারম্যান।

জাঙ্গালিয়া গ্রামের জেলে মোঃ আলম খান এবং পনু বলেন দুই মাসে আমাদের ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা বলেছে সরকার। গত ০৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদে চাল না দিয়ে চেয়ারম্যানের নিজ এলাকায় আদম বাজারে চাল বিতরণ করেন তিনি।

একই এলাকার জেলে শামীম, মোঃ রাসেল খান, বাবুল, জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ বাচ্চু এবং পনু মিয়াসহ আরও অনেকের নাম আছে জেলে তালিকায়। তবুও তাঁরা খাদ্য সহায়তার চাল পাননি। তাঁরা অভিযোগ করেন, আমরা নৌকার সমর্থক ছিলাম এ কারনে আমাদের চাল দেওয়া হয়নি। অথচ এমন অনেককে চাল দেওয়া হয়েছে যাঁরা জেলে নন, চেয়ারম্যানের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত এবং চেয়ারম্যানের নির্বাচন করেছেন। যাদের কার্ড নেই তারা হল দুলাল খা, মনির,মজিবর খন্দকার, রাসেল খন্দকার, ছগির,শাহিনসহ অনেক লোক চাল পেয়েছে।

বরগুনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বলেন, আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে কার্ড হোল্ডার ৬৩৪ জন। আমরা চাল দিতে পেরেছি ৬০০ জনের। সমন্বয় করে চাল দেওয়ার কথা। নৌকার সমর্থকরা বার বার চাল পাবেনা সেটি হয় না। আপনারা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিন। চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।