বরগুনায় ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে যাবজ্জীবন

নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড অনাদায়ে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও দুইজনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হল, বরগুনা সদর উপজেলার গিলাতলী গ্রামের শহিদ বিশ্বাসের ছেলে ফরহাদ বিশ্বাস, আবদুস সালামের ছেলে আবদুল জব্বার ও ইকবালের স্ত্রী গ্রাম্য ডাক্তার জেসমিন। অপর আসামী মালেককে খালাস দিয়েছে আদালত।
সোমবার সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, বাদী দুলাল মোল্লা বরগুনা থানায় ২০১৪ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ করেন। তিনি রিক্সা চালক ও তার স্ত্রী অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে। তার ১৭ বছরের কিশোরী মেয়ে ঘরে থাকে। প্রতিবেশী দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফরহাদ বিশ্বাস সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ সকাল ১০ টায় ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী গর্ভবতি হয়। আসামী জব্বার বাদীর কন্যাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য গ্রাম্য ডাক্তার জেসমিনের নিকট বরগুনা নিয়ে আসেন। জেসমিন গর্ভপাত করাবার জন্য একটি ইনজেশন দিয়ে বাদীর কন্যাকে বলে বাড়ীতে গিয়ে মরে যা। বাদীর কন্যাকে বাড়ীতে আনার পরে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে গর্ভের সন্তান নস্ট হয়ে যায়।
বাদী বলেন, আসামী ফরহাদ বিশ্বাস আমার মেয়ের জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী আশ্রাফুল আলম বলেন, রায়ে বাদী ও রাস্ট্র পক্ষ সন্তুষ্ট। এই রায় প্রমান করে অপরাধ করলে তার শাস্তি ভোগ করতে হয়। আসামী পক্ষের আইনজীবী আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।