মঠবাড়িয়ায় উদ্ধার হওয়া মরদেহর পরিচয় মিলেছে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের একটি ছনবন থেকে উদ্ধার হওয়া সেই অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলছে। তার নাম মাসুদুর রহমান (৫৮)। জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়ড়া গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে। তিনি খুলনা নগরীর বয়রা এলাকায় কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল প্রকল্পে কাজ করতেন।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে মৃত ব্যক্তির ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এর আগে শনিবার রাতে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ছনবন থেকে নাম-পরিচয়হীন অজ্ঞাতনামা ওই মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাসুদুর রহমান ১৭ এপ্রিল সকালে নগরীর খালিশপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যান। বেলা দুইটায় অফিস শেষে তিনি বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। তাঁর স্ত্রী পারভিন আক্তার স্বামীর মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।
স্বামীকে না পেয়ে পরদিন ১৮ এপ্রিল খালিশপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। গতকাল বিকেলে মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমণি গ্রামের শুক্কুর মিয়ার বাড়ির পাশে ছনবনে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে মরদেহ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মৃত ব্যক্তির হাতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন থেকে পরিচয় জানতে পারে এবং খুলনার খালিশপুর থানায় যোগাযোগ করে। খালিশপুর থানা থেকে খবর পেয়ে মাসুদুর রহমানের ছোট ভাই মোবারক হোসেন মঠবাড়িয়া থানায় গিয়ে পোশাক ও জুতা দেখে মরহেদ শনাক্ত করেন।
মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। তাঁকে কেন অপহরণের পর হত্যা করা হলো, বুঝতে পারছি না।’
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে অপহরণের পর মঠবাড়িয়ায় এনে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।