বরগুনায় নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর

বরগুনায় নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর

বরগুনার তালতলীতে সোনাকাটা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর। ঘটনায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে টাকা-পয়সা লুটপাট ও ৫টি মটরসাইকেল ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এসময় নৌকা সমার্থক ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ।

গত শনিবার (০৪ জুন) বিকেল ৬টার দিকে উপজেলার ফকিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত যুবলীগ নেতা-কর্মীরা হলো আলমগীর তালুকদার (২৫), রিফাত (২৭), স্বপন (৩০), রাহাত (৩২) সহ বাকিদের নাম এখনো জানা যায়নি। 

জানা যায়, উপজেলার ফকিরহাট বাজারে  যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। সেই আয়োজনে তালতলী থেকে উপজেলা যুবলীগের নেতারা সে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয়। বিক্ষোভ শেষে যুবলীগ নেতারা নৌকা প্রতীকের একটি নির্বাচনী অফিসে বসে আলোচনা করেন। পাশের একটি দোকানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরাজী ইউনুচের সমর্থকরা নৌকা নিয়ে কটুক্তি মূলক কথা বলে। এসময় নৌকার সমর্থক রা প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর ছেলে সজিব ফরাজীসহ দুই থেকে তিন শত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন এবং এক পর্যায়ে তারা নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙে ফেলা হয়। 

তবে হামলা চালানোর সময়ে পাশেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক উজ্জামান তনু’র রয়েল ফিস নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় হামলাকারীরা।  এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র কুপিয়ে ফেলে। পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ক্যাশ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরাজী ইউনুচ মুঠো ফোনে বলেন, ‘আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে নৌকার প্রার্থীর পক্ষের লোকজন। আমি এবিষয়ে আপনাদের সাথে পরে কথা বলবো।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক-উজ্জামান তনু বলেন, ‘আজকে যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ছিল সোনাকাটা ইউনিয়নে। সেখানে যুবলীগ নেতাদের সামনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। সেটা নিয়ে দু'পক্ষের কি হয়েছে জানিনা। কিন্তু  আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  হামলা চালাবে কেন। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে ভাঙচুর করেন।’

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।  এখনো কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’