বরগুনায় প্রকাশ্যে শিক্ষার্থী হত্যা,জড়িত অভিযোগে ৭ কিশোর গ্রেপ্তার

বরগুনায় প্রকাশ্যে শিক্ষার্থী হত্যা,জড়িত অভিযোগে ৭ কিশোর গ্রেপ্তার

বরগুনায় আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাড়া- মহল্লায় অপরাধী কিশোর গ্যাং। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারী কলেজ গেটের সামনে দিনের আলোতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক শিক্ষার্থীকে।  

আলোচিত ঐ হত্যা কান্ডের ১১ মাসের ব্যাবধানে ঈদের দিন প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হলো দিনমজুর পিতার সন্তান রিদয়(১৬)। পুলিশ অবশ্য বরগুনায় কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেননা। রিফাত শরীফ হত্যার পরও নাম পরিচয় এলাকা উল্লেখ করে গণমাধ্যমে কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়টি বরগুনার বর্তমান পুলিশ প্রশাসনই গুরুত্বে এসেছে । 

রিফাত শরীফ হত্যায় ১২ কিশোরের বিরুদ্বে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। ২৫ মে রিদয় হত্যা ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৭ জনই কিশোর বয়সই! 

রিদয়কে ঈদের দিন প্রকাশ্যে যেখানে পিটিয়ে হত্যা আহত করা হয় সেটি বরগুনার জনগনের নিকট কয়েক বছর যাবৎ বুড়ীশ্বর নদীর পাড়ে জেগে উঠা একটি চর। শীত মৌসুম ছাড়াও বিভিন্ন সময় লোকজন কোলাহল ছেড়ে নির্জনে সেখানে ভ্রমনে যায়। অথচ ঐ এলাকায় আসা ভ্রমনপিপাসুদের জন্য পুলিশের কোন নিরাপত্তা ব্যাবস্হা ঐ দিন ছিলোনা! রিদয় হত্যা ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়। 

সাংবাদিকদের হল রুমে প্রেস ব্রিফ্রিংয় করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান। লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন,নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে নোমান কাজী(১৮) ও নয়ন(১৭) তাদের সঙ্গীয় বন্ধুদের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় রিদয় (১৬) আহত হয়।পরে বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় রিদয় মারা যায়। 

রিদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, নোমান (১৮),হেলাল মৃধা,রানা(১৭),ইমন(১৮) সাগর(১৬) হেলাল-২,ও শফিকুল ইসলাম। 

এ দিকে বুধবার  ময়নাতদন্ত শেষে রিদয়ের মৃতদেহ আজ বিকাল নাগাত বরগুনায় গ্রামের বাড়ী বড় লবনগোলা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে  জানিয়েছেন রিদয়ের বাবা দেলোয়ার হোসেন।