বরগুনায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ অভিযুক্ত ধর্ষকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড

মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ ও ধর্ষণের পৃথক দুইটি অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় ধর্ষককে যাবজ্জীবন ও ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে উভয় দন্ড চলমান থাকবে। বৃহস্পতিবার ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো: মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হল, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার তালুকের চরদুয়ানি গ্রামের জয়নাল খানের ছেলে মো: কামাল খান। রায় ঘোষনার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সহকারী পিপি আশ্রাফুল আলম।
জানা যায়, আসামীর একই গ্রামের
মোঃ আলমগীর হোসেন মাল ওই ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার নাবালিকা কন্যা দক্ষিন তালুকের চরদুয়ানী একটি দাখিল মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী কামাল খান তার কন্যাকে পথে ঘাটে উত্যাক্ত করে। বাদী কামালের বাবা মায়ের নিকট অভিযোগ দিলে এতে কামাল আরও উত্তেজিত হয়। ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট বাদীর ১২ বছরের নাবালিকা কন্যা আজিজ ফরাজির বাড়ীর সামনে দিয়ে মাদ্রাসায় যাবার পথে আসামী কামাল খান জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে কয়েক দিন আটক রেখে ধর্ষণ করে। বাদী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরে পাথরঘাটা থানাকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দেয়। পাথরঘাটা থানার এসআই সোলায়মান ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করায়। চিকিৎসক ভিকটিম ধর্ষণ হয়েছে মর্মে মতামত দিয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোলায়মান ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ শীট দেয়।
বাদী বলেন, আমার মেয়েকে ওই আসামী সর্বনাশ করেছে। আদালতের রায়ে আমি খুশি। আসামী পক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামী উচ্চ আদালতে যাবেন।