বরগুনায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা চেস্টার অভিযোগ- শেবাচিমে ভর্তি

বরগুনায় যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা চেস্টার অভিযোগ- শেবাচিমে ভর্তি

বরগুনায় দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেস্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এর আগেও তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। আহত গৃহবধূ বিথী বনিককে (৩৪) শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন আহতের স্বজনরা। 

বরগুনা পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীন রোডের বনিক বাড়ি এলাকায় গত ১১ মে সকালে এই ঘটনা ঘটে। 
 
বিথীর মা অরুনা বনিক জানান, বিথীর বিয়ের পর তার স্বামী রতন বণিক বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে। দাবীকৃত যৌতুক না দেয়ায় তাকে অব্যাহতভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনের মুখে একবার বাবার পরিবার থেকে ১০ লাখ টাকা এনে স্বামীকে দেয় সে। সাম্প্রতিক সময়ে স্বামী রতন বনিক ভবন নির্মাণের জন্য আরও টাকা দাবী করে। এতে বিথী অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ হয় রতন। গত ১১ মে সকালে স্বামীর গৃহে বিথীকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেস্টা করে। এ অবস্থায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঘরের মধ্যে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখার পর বরগুনা হাসপাতালে নিয়ে যায় বিথীর শ্বশুড়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন রাতে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তার গলায় এখনও রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেস্টার ক্ষত রয়েছে। এ ঘটনা বিচার দাবী করেন অরুনা বনিক সহ অন্যান্য স্বজনরা। 

এদিকে হাসপাতালে বিথীর যথাযথ চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান ও গলা বিভাগের চিকিৎসক ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. মো. নজরুল ইসলাম। 

বরগুনা সদর থানার ওসি আলী আহম্মদ জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। 


পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী গ্রামের জগদ্বীশ চন্দ্র বনিকের মেয়ে বিথীর সাথে ৯ বছর আগে সামাজিকভাবে রতনের সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্যে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে।