শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গাজী কালুর টিলায় ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। তার বাড়ি নরসিংদী জেলায়।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে কে বা কারা ওই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে তা প্রক্টর নিশ্চিত করতে পারেননি।
সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, ‘শরীরে স্টেপ করার পর রক্তক্ষরণ হয় প্রচুর। প্রথমে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয় সেখানে তার সেন্স পাওয়া যাচ্ছিল না। সেখান থেকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত পাওয়া যায়। এখন ডাক্তাররা বলতে পারবে ঘটানাস্থলে মারা গেছে নাকি আনার পথে মারা গেছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
নিহত শিক্ষার্থীকে প্রথমে উদ্ধার করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম জয়।
শরিফুল ইসলাম জয় বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ২য় ছাত্রী হলের সামনের টিলায় বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী প্রথমে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। ওই পথ দিয়ে আমার এক জুনিয়র ফাহিম গেলে তাকে ওই ছাত্রী জানান এবং সে আমাকে ফোন দিলে আমরা এসে তাকে উদ্ধার করি। তখনও ছেলেটি বেঁচে ছিলো, কিন্তু আমরা যখন তাকে নিয়ে ছাত্রী হলের কাছাকাছি আসছিলাম তখন সে নিস্তেজ হয়ে যায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিই, পরে তাকে ওসমানী মেডিকেলে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালক বেলাল মিয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে ওসমানীতে নিতে বললে সাথে সাথে আমরা তাকে ওসমানীতে নিই। কিন্তু পরে ইসিজি করে জানা যায় সে মারা গেছে।
এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা খান বলেন, এই এলাকায় বুলবুলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে খবর দেন। তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।