বরিশাল কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন আরও ৩৯ কয়েদি

করোনার কারনে সরকারের সাধারন ক্ষমায় দ্বিতীয় দফায় বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ৩৯জন কয়েদি।
গত শুক্রবার স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর গতকাল শনিবার বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২ জন কয়েদি। আইনী জটিলতা কাটিয়ে অপর ৩৭জনও আগামীকাল রবিবার (১০ মে) মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কেন্দ্রিয় কারগারের জেলার নূর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, দ্বিতীয় দফায় যাদের মুক্তির আদেশ এসেছে তারা সকলেই লঘুদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। তাদের সাজার মেয়দ বাকী ছিলো ৬ মাস থেকে ১ বছর। আদেশ পাওয়ার পর শনিবার (০৯ মে) ২জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা অপরিশোধিত থাকায় বাকী ৩৭জনকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে জরিমানার অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে আজ রবিবার তারা মুক্তি পেতে পারেন বলে জানান জেলার নূর মোহাম্মদ।
এর আগে স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে প্রথম দফায় গত ২মে ৩জন এবং ৩ মে ৭জনকে বিশেষ ক্ষমতায় মুক্তি দেয়া হয় বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে।
বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, করোনার কারনে সৃস্ট পরিস্থিতিতে ৩ ক্যাটাগরিতে বরিশাল কেন্দ্রিয় কারাগারের ২৪২ জন বন্দিকে মুক্তির জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছিলো। এরমধ্যে ৭৩ জন যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী রয়েছে, যাদের অন্তত ২০ বছর সাজা ভোগ করা হয়ে গছে। অপর দুই ক্যাটাগরিভূক্তরা হলো হাজতি এবং লঘুদন্ডপ্রাপ্ত বন্দি।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় দেশের গণমাধ্যমে এনিয়ে ‘গুজব’ ছাড়ানো হচ্ছে কি না, তার তদারকিতে নেমেছে সরকার। দেশের ৩০টি বেসরকারি টেলিভিশন ‘মনিটরিং’ করতে মন্ত্রণালয়ের ১৫ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে এক আদেশ জারি করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) ‘মনিটর’ করছে বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান উল আলম জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে গুজব রটনাকারীদের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করে দেয়ার দিন বুধবারই তথ্য মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ হয়, যা বৃহস্পতিবার প্রকাশ পেয়েছে।
মিজান বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো টিভি চ্যানেলে অপপ্রচার বা গুজব ছড়াচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছে। শুধু টেলিভিশন নয়, অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোও এনিয়ে কোনো গুজব ছড়াচ্ছে কি না, তা তথ্য অধিদপ্তর মনিটরিং করছে।
কোনো গণমাধ্যম নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে ‘অপপ্রচার বা গুজব’ ছড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব মিজান।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখার আদেশে বলা হয়েছে, ২৪ মার্চ কভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিহতকরণ প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে অপপ্রচার কিংবা গুজব প্রচার হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করার জন্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কোনো বেসরকারি টিভি চ্যানেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে অপপ্রচার কিংবা গুজব প্রচার হচ্ছে বলে চিহ্নিত হলে তা বন্ধ করতে সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।