মেয়র সাদিকের আহ্বানে খুলবে না বরিশালের ঈদবাজার

মেয়র সাদিকের আহ্বানে খুলবে না বরিশালের ঈদবাজার

করোনা প্রদুর্ভাব মোকাবেলায় মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহ যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আজ রোববার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও মেয়রের আহ্বানে ব্যবসায়ীরা ঈদ বাজারের সব দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যতোদিন করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে ততোদিন ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখারও ঘোষাণা দেন।


গতকাল শনিবার রাত ১২টায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর বাসভবনে ব্যবসায়ীদের ওই আহ্বান জানালে ব্যবসায়ীরা তাঁর আহ্বানে সাড়া দেন।


ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মেয়র বলেন, করোনা বর্তমানে একটি বৈশি^ক সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবেলা করতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার। এবছর করোনা মহামারীর কথা চিন্তা করে ঈদ বাজার না খুলতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হয়। ব্যবসায়ীরা তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজ বুধবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তারা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


মেয়র সাদিক বলেন, আগে মানুষ বাঁচতে হবে। তার পর ঈদ। এক বছর ঈদে নতুন পোশাক না পড়লে এমন কোন ক্ষতি হবে না। বরং এই মুহূর্তে অসহায় ও কর্মহীনদের পাশে নতুন পোশাক কেনার অর্থ বরাদ্দ করলে তারা উপকৃত হবেন। আমরা সবাই মিলে করোনার এই দুর্যোগ মোকাবেলা শেষে সুন্দর পরিবেশে আগামী ঈদ করতে চাই। এই জন্য এবছরের ঈদকে প্রধান্য না দেওয়ার আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে তিনি সকলকে বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
 মেয়র বলেন, বর্তমানে করোনার সঙ্গে মশার উপদ্রবও বাড়ছে। তাই মশার ওষুধ নিয়েও আমার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনে মশার ওষুধ পরিবর্তন করে নতুন ওষুধ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে ডেঙ্গু ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্য সবাইকে বাড়ির ছাদ ও আঙিনা পরিচ্ছন্ন রাখাসহ যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখারও আহ্বান জানান।


গতকাল রাতের বৈঠক শেষে ব্যবসায়ী নেতা আবদুর রাহিম গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়র মহোদয়ের আহ্বানে আমরা আজ রোবার ঈদ বাজার না খুলে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা চাই, মেয়রের সিদ্ধান্ত সবাই মেনে করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায় অংশিজন হবেন। আজ রোবাবার বরিশাল মহানগরের সকল ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। কোনভাবেই ঈদে মহানগরের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না। যতোদিন পযৃন্ত করোনার প্রাদুর্ভাব না কমবে ততোদিন আমরা সহযোগী হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবো।