গভীর রাতে ঢাকাগামী সুন্দরবন-১০ লঞ্চে অগ্নিকা-ের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যাত্রীরা। একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্পীটবোটযোগে চাঁদপুর এলাকায় লঞ্চে পৌঁছায়। তার আগে আাগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এঘটনায় হতাহত না হলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
গত মঙ্গলবা রাত নয়টায় সুন্দরবন-১০ লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে বরিশাল নৌবন্দর ত্যাগ করার পর রাত ১২ট ৪০ মিনিটের সময় ঢাকা বরিশাল নৌপথের মাঝের চর এলাকায় লঞ্চের তিনতলার পেছনের দিকে ওই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী গবিন্দ হালদার জানান, সুন্দরবন লঞ্চটি যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে লঞ্চের তৃতীয় তলায় নামাজের স্থানে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। পরে সেটা অগ্নিকা-ে রূপ নেয়। আগুনের খবর ছড়িয়ে পরলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা দিয়ে একঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাত পৌনে দুইটার দিকে আবারো একই স্থানে আগুনের ধোয়া দেখা যায়। পরে ঢাকা থেকে অগ্নিনির্বাপন দল লঞ্চে আসেন। তবে তার আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সুন্দরবন লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হারুন অর রশীদ জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চাঁদপুরের কাছাকাছি মাঝের চর এলাকায় পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। লঞ্চের তিনতলায় পছনের ধাঁয়া নির্গমনকারী পাইপ গরম হয়ে আগুন ধরে যায়। সঙ্গেসঙ্গে চাঁদপুরের ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। তবে তারা আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
লঞ্চ যাত্রী অমিত হাসান অভি বলেন, লঞ্চে আগুন লাগার খবরে আতিঙ্ক ছড়িয়ে পরে। যাত্রীরা ছুটাছুটি করতে থাকে। কেউ কেউ লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিতেও উদ্যত হয়। পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুন্দরবন লঞ্চের মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু দেশ রূপান্তরকে বলেন, এটা বড়ধরণের কোন ঘটনা নয়। রাতে লঞ্চের পেছনে সাইলেন্সর পাইপের পশে থাকা কাঠে আগুন লাগে। কেউ হয়তো বিড়ি-সিগারে খেয়ে সেখানে ফেলে তাই আগুনের সুত্রপাত হয়। এটা নিয়ে তেমন আতঙ্কের ঘটনা ঘটেনি। ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে লঞ্চেরও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।