পবিত্র ঈদ উল ফিতরের পর গত শুক্রবার এবং গতকাল শনিবার (০৮ জুন) বরিশাল নদী বন্দরে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নামে। তবে লঞ্চ মালিক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি যাত্রী চাপ আরো বাড়বে। শনিবার ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের মূল যাত্রীদের চাপ হবে বলে দাবি তাদের। এই চাপ রোববারের পর থেকে কিছুটা কমতে পারে। যাত্রীচাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান তারা।
বরিশাল নদী বন্দর সূত্রে জানাগেছে, ঈদের পরেরদিন বৃহষ্পতিবার ৫টি করে লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দর থেকে সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। গত শুক্রবার এবং শনিবার ১০ লঞ্চ রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে সরকারি জাহাজ এবং ভায়া রযটের আরো বেশ কয়েকটি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। তবে ধারনক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর থেকে কোন লঞ্চ ছাড়তে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
বরিশাল নদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। আর শনিবার দুপুরের আগ থেকেই নদীবন্দরে যাত্রীভীড় বাড়তে থাকে। এই ভীড় বিকেল হয়ে সন্ধ্যায় জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
অপরদিকে স্পেশাল সার্ভিসের আওতায় আজকের দিনের লঞ্চের কেবিন আগে থেকেই বুকিং হয়ে যাওয়ায় কোন কেবিন খালি নেই। কেবিন পাওয়া আশা ছেড়ে দিয়ে সব যাত্রীরা ডেকে স্থান পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ কেবিন বয়দের হাত করে কেবিনের সামনের জায়গা টাকা দিয়ে বুক করে রাখছেন।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, নিরাপদ যাত্রার লক্ষে লঞ্চ মালিক, মাস্টার-ড্রাইভার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে ঈদের আগেই সভা করা হয়েছে। সভা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী না তোলা, মাষ্টার ব্রিজ যাত্রীদের কাছে ভাড়া না দেয়াসহ নানান সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাই কোনভাবেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হতে দেওয়া হবে না। এব্যপারে সার্বক্ষণিক প্রচারণা চলছে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হওয়ার আগেই বন্দর ছাড়তে বাধ্য করা হবে।
এদিকে যাত্রীদের ভীড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বন্দর এলাকাজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা জোড়দার করা হয়েছে। বন্দর এলাকার নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশের পাশাপাশি, কোতোয়ালি থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, র্যাব, কোষ্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও আনসারের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এর সঙ্গে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব পালন করছে স্কাউট সদস্যরা।
বরিশাল থেকে গতকাল শনিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে সুরভী, সুন্দরবন, পারাবত, কীর্তনখোলা, এ্যাডভেন্সার, টিপু, মানামীসহ ১০ টি লঞ্চ সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।