বরিশাল নদীবন্দরের লঞ্চে অভিযান
ঝালকাঠি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় টনক নড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সহ পুরো দেশের। বরিশাল নদীবন্দরে ঘাট দেয়া ঢাকা-নৌ রুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান চালিয়েছে।
বুধাবার ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় বরিশাল নদীবন্দেরর সবগুলো বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জমাদি, লঞ্চে লাইফ বয়া, ফায়ার বাকেট, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, হস্তচালিত পাম্প, বালির বাক্স, রেডিও, সেফটি টর্চ, কম্পাস, ফাস্ট এইড বাক্স, জিপিএস, ইকো সাউন্ডারসহ লঞ্চের ফিটনেস প্রথমিক পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করেন।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে ঢাকা-বরিশাল নৌ পথে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে- এমন দাবি করেছেন লঞ্চ যাত্রীসহ সুশীল সমাজ। লঞ্চে যাত্রীদের ধারন ক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী বহন করা এই ঝুঁকির প্রধান কারণ। এছাড়া নেই আধুনিক অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। এছাড়া মান্ধাতার আমলের যন্ত্রপাতি এবং ইঞ্জিন দিয়েই চলাচল করছে লঞ্চগুলো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীবহন করেছে কিনা সেদিকে আমরা নজর রেখেছি। এছাড়া বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের নিরাপত্তার সার্থে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামাদী গুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। আর লঞ্চ মাস্টার এবং সকল স্টাফ দের লঞ্চের যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আরো সতর্ক হতে আহ্বান করেছি। কেউ যদি নিয়মের ব্যতয় হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।