শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সদস্য যারা মারা গেছেন, তাঁদের স্বজনদের নিয়ে ‘স্বজন স্মরণ’ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বরিশালের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রেসক্লাবের সদস্য, স্বজন ও সুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে ওই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসিরউদ্দিন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বজন স্মরণ ও ইফতার আয়োজনে বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইস আহম্মেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মানবেন্দ্র বটব্যাল, অ্যাড. এসএম ইকবাল, জেলা বিএনপি সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. ওবায়েদউল্লাহ সাজু, প্রয়াত সাংবাদিক শহীদুজ্জামান টিটুর বাবা বদিউজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন। কোরআন তেলাওয়াত করেন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এম আমজাদ হোসাইন। উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আলম ফরিদ, সৈয়দ দুলাল, কাজল ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহম্মেদ, পুলক চ্যাটার্জী, এটিএন বাংলার হুমায়ুন কবির, যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান আক্তার ফারুক শাহীন, সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ফিরদাউস সোহাগ, নিউজ টুয়ান্টিফোর চ্যানেলের রাহাত খান, ডিভিসি নিউজের অপূর্ব অপু, মাছরাঙা টিভির গিয়াসউদ্দিন সুমন, চ্যানেল ২৪ এর প্রাচুর্য রানা, বাংলা ভিশনের সাহিন হাসানসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।
স্বজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক নিখিল সেনের স্বজন সুজয় সেনগুপ্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের সহধর্মীনী, লিটন বাশারের সহধর্মীনী, মীর মনিরুজ্জামানের স্বজনসহ অন্যান্য স্বজনরা।
স্বজন স্মরণ অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলে, বরিশাল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাবের সদস্য যারা মারা গেছেন, তারা প্রত্যেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ মানুষ ছিলেন। আজ কেবল স্মজন স্মরণ অনুষ্ঠান করলেই হবে না। আমাদের উচিত আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া সদস্যদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। তাদের সন্তানরা যাতে শিক্ষা এবং চাকুরীর সুযোগ পায় সেদিকে নজর দিতে হবে। এই প্রেসক্লাবের উন্নয়নে পাশে থাকবো আমি। একই সঙ্গে নিহত স্বজনদের যে কোন সহযোগিতা দিতে আমি এবং মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ প্রস্তুত আছি।
মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, বরিশাল প্রেসক্লাবের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আমার দাদা শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত, চাচা শহীদ সেরনিয়াবাত এই প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। তাই এই প্রেসক্লাবের উন্নয়নে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। প্রেসক্লাবের বহুতল ভবনের প্লান সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ভবন নির্মাণেও পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।