বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের উপর হামলার অভিযোগ
রাফসান জানী নামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রর উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছাত্র হাফিজুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম সুমন, হাসিব শেখ সাইমুনসহ আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেছে রাফসান।
রোববার বিকেলে হামলার ঘটনায় বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছে রাফসান।
আহত রাফসান ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে রাফসান জানীর ওপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। রাফসানের ডিপার্টমেন্টের অস্টম সেমিস্টারের ক্লাস শেষ হওয়ায় বরিশাল নগরীর হটপ্লেট রেস্টুরেন্টে রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়। এতে তাদের ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত চলে। অনুষ্ঠান শেষে তারা সবাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ১০টার দিকে পৌঁছায়। রাফসান বাস থেকে ভিসি ভবনের সামনে নামার সঙ্গে সঙ্গে অতর্কিতভাবে তাকে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছাত্র হাফিজুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম সুমন, হাসিব শেখ সাইমুনসহ আরও ২/৩ জন তাকে কিল ঘুষি দেয়। একপর্যায়ে হাফিজ ও সুমন তাকে বাঁশ দিয়ে কোমর ও পায়ে আঘাত করে এবং বেধরক মারধর করে। ওই ঘটনা দেখে রাফসানের সহপাঠিরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার আগে থেকেই রাফসানকে মারধরের হুমকি দেয়া হয়েছিলো। এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই রাতে তাকে হলের রুম থেকে ডেকে হাফিজ ও সাইমুন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মারধর করে। এই ঘটনা বিভাগকে জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উপাচার্য বরাবর দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হামলাকারিরা সকলে গণিত বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষের মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের অনুসারী।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বলেন, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাছাড়া ছাত্রলীগের কোনো কর্মী ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র নেতা।
এই বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস বলেন, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। আজ সোমবার বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো।