বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৯০ দশমকি ১৯ ভাগ

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি’তে পাশের হার ৯০ দশমকি ১৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২১৯ জন। গত মধ্য নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ৩ বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এই ফল ঘোষণা করে শিক্ষা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌঁনে ১১টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের হলরুমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
অটোপাশের চেয়ে মেধা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পেরে খুশী শিক্ষার্থীরা। তবে সবগুলো বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পাড়লে ফলাফল আরও ভালো হতো বলে মনে করেন তারা। করোনা প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে সন্তানদের অংশগ্রহণেই খুশী অভিভাবকরা। তবে আরও ভালো ফলাফল প্রত্যাশা ছিলো বোর্ড কর্তৃপক্ষের।
করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে হয়নি এসএসসি পরীক্ষা। জেএসসি’র (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ফলের উপর ভিত্তি করে তাদের দেয়া হয় অটোপ্রমোশন। কিন্তু এতে সত্যিকারের মেধা যাচাই না হওয়ায় সমালোচনা হয়। প্রাদুর্ভাব না কাটলেও এবার এসএসসি’তে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ৩ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। উত্তরপত্র মূল্যায়নের পাশাপাশি জেএসসি ফল বিবেচনায় গতকাল বৃহষ্পতিবার ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩ জন ফরম পূরণ করে। ১৭৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬ জন। এর মধ্যে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৯১৭জন বিভিন্ন গ্রেডে পাশ করে। বিজ্ঞান বিভাগে ২৪ হাজার ৮৭৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ২৩ হাজার ৪৫ জন। পাশের হার ৯২ দশমিক ৬৪ ভাগ। মানবিক বিভাগে ৬৮ হাজচার ২৬২জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬০ হাজার ৫৬৪ জন। পাশের হার ৮৮ দশমিক ৭২ ভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১৯ হাজার ৮৬৭ জন অংশ নিয়ে পাশ করে ১৮ হাজার ৩০৮জন। পাশের হার ৯২ দশমিক ১৫ ভাগ। এবার বরিশাল বিভাগের ১ হাজার ৪৪৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
করোনা মহামারীতে পড়াশোনায় অপূরণীয় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরীক্ষা গ্রহণ জরুরী ছিলো বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা। অটোপাশের চেয়ে পরীক্ষার ফলাফলে তারা সন্তুস্ট। তবে সবগুলো পরীক্ষা দিতে পাড়লে ফলাফল আরও ভালো হতো বলে মনে করেন তারা।
অটোপাশের চেয়ে পরীক্ষায় সন্তানদের মেধা যাচাইয়ে খুশী অভিভাবকরাও। এতে তারা পড়াশোনায় আরও মনযোগী হবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঘোষিত ফলাফলে খুশী হলেও আরও ভালো ফল প্রত্যাশা ছিলো বোর্ড কর্তৃপক্ষের।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন বলেন, বরিশাল দারিদ্রপীড়িত এলাকা। এখানকার অংধিকাংশ শিক্ষার্থী কৃষকের সন্তান। করোনা পরিস্থিতিতে তারা আশানুরূপ পড়াশোনা করতে পারেনি। তারা আরও পড়ালেখা করতে পাড়লে ফলাফল অন্যরকম হতো।
গত বছর বরিশাল বোর্ডে অটোপাশের হার ছিলো ৭৯ দশমিক ৭০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৪ হাজার ৮৮৩ জন। এর আগে ২০১৯ সালে এসএসসি’তে পাশের হার ছিলো ৭৭ দশমিক ৪১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৪ হাজার ১৮৯ জন।