বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রনিকে নিয়ে বিতর্ক

বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনিকে নিয়ে এবার নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। দলের নেতা কর্মীদের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এর আগেও একাধিকবার তার কর্মকান্ড নিয়ে দলের ভিতরে চাউর হলেও মহানগর ছাত্রদলের পদ পাওয়ার পর কিছুটা বিতর্ক থেকে মুক্তি পান রনি। ছাত্রলীগ নেতার বিয়েতে উপস্থিত হয়ে নতুন ওই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সিনিয়র নেতারা মনে করছেন দলের এমন পর্যায়ে এসে ছাত্রদল সভাপতির এমন কাণ্ডে কিছুটা হলেও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।
ওই বিষয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান বাপ্পি ভোরের আলোকে বলেন, আমি বরিশাল সাংগঠনিক দলের দ্বায়িত্ব পেয়েছি নতুন। এই বিষয়টি এখনো আমার সমনে আসেনি। তবে বিষয়টি আমি ক্ষতিয়ে দেখছি।
সূত্রে জানা যায়, নগরবাসীকে জানান দিয়ে গত ২ অক্টোবার নগরীর বরিশাল ক্লাবে বরিশাল জেলা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিমের বিবাহ উত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি ছবিতে দেখা যায় বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনির উপস্থিতি। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ভাইরাল হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রদল কর্মী ভোরের আলোকে জানিয়েছে, বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের অভিভাবক কিভাবে ছাত্রলীগের কোলে বসে ছবি তোলে ওই বিষয়টি দলীয় সবাইকে বিভ্রান্ত করেছে। দলের ক্রান্তিলগ্নে শীর্ষ পর্যেয়ের পদবীধারী নেতা এরকম কর্মকান্ড করে আমাদের দলের ইমেজকে ক্ষুন্ন করছেন। একদিকে আওয়ামী লীগের দমন নিপিড়ণের শিকার হয়ে আমরা যেখানে দলীয় কর্মকান্ড করতে পারছি না। আমাদের দমিয়ে রেখেছে, হামলা মামলা হয়রানী করছে। আজ যে সকল নেতার সঙ্গে মিলছে কিছুদিন আগেও তাঁরা বরিশাল জেলা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে আমাদের দলীয় কর্মসূচি করতে বাধা দিয়েছিলো।
ছাত্রদল কর্মীরা আরো জানায়, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হয়ে তিনি সেই দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সেলফি ও ফটোসেশন করে এটা আমাদের কাম্য নয়। দলের সিনিয়র নেতাদের প্রতি দাবি তারা যেন এই বিষয়টি দেখেন। দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা কারীদের দল থেকে বহিষ্কার করে দলকে সুসংগঠিত করে।
এব্যাপারে গতকাল রাতে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবিরের মুঠোফোনে ৯টা ২১ মিনিটে একাধিক বার কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
রেজাউল করিম রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।