বরিশাল শহীদ মিনারে তিন সংগঠনের অনুষ্ঠানে স্থান হয়নি সবার

বরিশালে মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব শিরোনামে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। তিন সংগঠনের নামে অনুষ্ঠান হলেও সেখানে সব সংগঠন স্থান পায়নি এমন অভিযোগ উঠেছে। এমনকি উদ্বোধনী পর্বে স্মারক বেলুন অবমুক্তকরণেও তারা স্থান পায়নি। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপন পরিষদের ব্যানারে ওই আয়োজনের উদ্বোধনী পর্ব ছিল গতকাল সোমবার।
সোমবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান মালায় স্মারক বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহ।
প্রথম পর্বের পাঁচ দিনের অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শুরু হয়।
বরিশালে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান, বরিশাল বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বরিশাল বছরব্যাপী মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠন হিসেবে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী স্বাগত বক্তব্য দেন। অথচ বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি নজমুল হোসেন আকাশকে দেখা গেছে সাধারণ দর্শকদের পেছনে। মঞ্চে ছিলেন না অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের কোন প্রতিনিধি। অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ দুলাল। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সমন্বয় পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
প্রশ্ন উঠেছে, বছরব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধীন পর্বে আয়োজক সংগঠনের সবার উপস্থিতি না থাকা নিয়ে। তিনি আয়োজক সংগঠনের একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, অবশ্যই উদ্বোধনী পর্বে সবার থাকা উচিত ছিল। সবচেয়ে বড় কথা জোটের ক্ষেত্রে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সবচেয়ে বড় জোট। সেই সংগঠনের সভাপতিই মঞ্চে স্থান পাননি। স্থান পায়নি দেশের বৃহৎ ফেডারেশনধর্মী সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের কোন প্রতিনিধিও। প্রাধান্য পেয়ছেন কেবল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রধান যিনি বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদেরও সাবেক সভাপতি। তাকে যদি সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি ধরা হয়, তাহলে অন্য সংগঠনের অংশগ্রহণ কি সেটা বুঝতে কঠিন হবে না। এমন অবস্থা সামনের দিনগুলিতে যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়ার দাবি করেছেন কেউ কেউ।
এব্যাপারে অনুষ্ঠানস্থলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেককে। তবে ওই ক্ষোভ ছিল গরমজলে বরফের মতো। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ এটা একধরণের স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে এমন উক্তিও করেছেন। কিছুটা প্রতিবদ করেছে এমন বক্তব্য পাওয়া গেছে। ওই প্রতিবাদ খুব একটা আমলযোগ্য নয় বলে মনে করেছে একাধিক ব্যক্তি।