বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ

বরিশাল সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) একদল কর্মচারী। এদিকে ওই অবরোধ চলমান থাকতে নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের সমর্থকরা তার ওয়ার্ডের আওতাধীন সিএন্ডবি রোডের সোমালয় ভবনের সামনে পাল্টা অবরোধ করেন। পাল্টাপাল্টি অবরোধের কারণে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে বিকেল ৩টা থেকে ইফতারীর আগ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে পুরো নগরীতে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
 
২০ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোডে সরকারি বরিশাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামানের নির্মানাধীন বাড়ির নকশা তদারকি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
বিসিসি সূত্র জানায়, বিসিসির সড়ক পরিদর্শক রাজিব খানকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব তার কক্ষে আটকে মারধর করেন। এর আগেও তিনি বিসিসির আরেক কর্মচারীকে মারধর করেছেন। এর প্রতিবাদে বিসিসির কর্মচারীরা গতকাল রবিবার বিকেলে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।
 
সরেজমিন দেখা যায়, বিএম কলেজ রোডে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে শতাধিক পরিচ্ছন্নকর্মী সড়ক অবরোধ করে কাউন্সিলর বিপ্লবের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছেন। অপরদিকে কাউন্সিলর বিপ্লবের সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর সোমালয় এলাকায় অবরোধ করে। এতে উভয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
 
কাউন্সিলরের সমর্থকরা জানান, কলেজ শিক্ষক কামরুজ্জামান ভবন নির্মাণ কাজ করছেন। কাজ শুরুর পর সিটি করপোরেশনের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রায়ই একদল যুবক ওই বাড়িতে হানা দেয় এবং নির্মাণ কাজের নানা ত্রুটি দেখিয়ে কলেজ শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। ওয়ার্ডের একজন নিরীহ শিক্ষককে হয়রানী করায় তিনি প্রতিবাদ করেন। এটিকে অজুহাত হিসাবে তুলে উচ্চ মহলের ইন্ধনে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সিটি করপোরেশনের কতিপয় কর্মচারী তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।
 
এদিকে রমজানের শেষ বিকেলে নগরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘরমুখো মানুষ চরম বিপাকে পড়েন। মহাসড়কে আটকে পড়ে বহু যানবাহন।
 
পুলিশ জানান, উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করে। পরে জনদুর্ভোগের বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে বলায় উভয় পক্ষ ইফতারীর আগে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।