বরিশালে অজুহাতে রাস্তায় মানুষ ,কঠোর অবস্থানে প্রশাসন, ঘরে থাকার আহ্বান

বরিশালে অজুহাতে রাস্তায় মানুষ ,কঠোর অবস্থানে প্রশাসন, ঘরে থাকার আহ্বান

সারা দেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের লঞ্চ-বাস এবং বেশীরভাগ দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। নগরীর মধ্যেও থ্রি হুইলার বন্ধ রয়েছে। প্রথম দিন কিছু সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন। কেউ কেউ জরুরী প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেও কিছু মানুষ রাস্তায় বেড়িয়েছেন কৌতুহলী হয়ে লকডাউন দেখতে। তাদের অনেকেই ব্যবহার করেননি মাস্ক। যদিও লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

লকডাউন বাস্তবায়নে বৃহষ্পতিবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে ২০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মাঠে নামেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এ সময় তিনি বলেন, গত ৩দিন জনগণকে সচেতন করা হয়েছে। এখন বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ভ্রাম্যমান আদালত। ব্যতয় হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. আলী সুজা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসন, বরিশাল।

এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন মেট্রো পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। এ সময় তিনি বলেন, প্রথম দিনের লকডাউনের চিত্র অনেকটাই সন্তোষজনক। এ জন্য নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে পুলিশ। বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
দুপুর ১২টার দিকে লকডাউন পরিস্থিতি দেখতে সদর রোড পরিদর্শন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল। এ সময় তিনি বলেন, বিভাগের ৬ জেলা এবং সিটি করপোরেশনের এলাকায় কঠোরভাবে লকডাউন প্রতিপালিত হচ্ছে। সল্প সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেড়িয়েছেন জরুরী প্রয়োজনে। জনগণকে নিজেদের স্বার্থেই আগামী ৭ দিন ঘরে থাকার আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল।

 বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বেশীরভাগ দোকানপাঠ বন্ধ। চায়ের দোকাগুলোতে মানুষের ভীড় দেখা গেছে। সকালের দিকে বাজারে কিছুটা ভীড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। তবে নগরীর পোর্ট রোড মাছ বাজারে মাস্ক বিহীন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা দেখা গেছে। নগরীর অভ্যন্তরে পায়ে চালিত কিছু রিক্সা, মোটর সাইকেল এবং পন্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যরা রিক্সা যাত্রী এবং পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। যাদের মাস্ক নেই তাদের মাস্ক পড়তে বাধ্য করেছে। রাস্তায় বের হওয়া মানুষ নানা অজুহাত দিচ্ছে।