সকাল থেকে বরিশালে টানা বৃষ্টপাত হচ্ছে। কখনো গুড়ি গুড়ি কখনো মাঝারি আকারে এ বৃষ্টিপাতের মধ্যেই সাধারণ মানুষ বেলা বাড়ার সাথে সাথে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রোববার (০৭ জুলাই) সকাল ৯ টাথে কেই নগ রের দোকান পাট খোলার পাশাপা শি অফিস আদালত, স্কুল-কলেজও খুলেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকান-পাটে ক্রেতা দের তেমন একটা ভিড় না থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগু লোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বৃষ্টির কারনে সড়কের তেমন কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হলেও ভাটিখানাসহ নগরের ভাঙ্গা সড়কগু লোর খানাখন্দে পানি জমেছে। ফলে পায়ে হেটে যাওয়া মানুষের পোহা তে হচ্ছে ভোগান্তি।
নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বাড়লেও তেমন কোথাও প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায় নি। পাশাপাশি বরিশাল নদী বন্দর থেকে যথাসময়ে নৌযান এবং বাস টার্মিনাল ধেকে পরিবহনগু লোযাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে আসা যাওয়া করছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, বরিশাল বিভাগে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সক্রিয় রয়েছে। আর এ সময়টায় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা আরো কয়েক দিন থাকবে। তারপর কমে গিয়ে আবারো শুরু হবে।
এ সময়টাতে সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত রয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ৫০ দশ মিক ৮ মি লিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির কারনে গতকয়েক দিনের থেকে তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে।
এদিকে জেলা মৎস অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস জানান, এধরনের বৃষ্টিকেই মূলত ইলশে গুড়ি বৃষ্টি বলা হয়। বৃষ্টি ও আবহাওটা পুরোপুরি ইলিশের জন্য উপযোগী। এ সময়টায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কথা, মেঘনাসহ কিছু কিছু নদীতে ইলিশ ধরাও পড়ছে। তবে বৃষ্টি আরো কয়েক দিন থাকলে নদ-নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব বাজারেও দেখা যাবে।
তবে এখন পর্যন্ত বরিশালের বাজারে ইলিশের আমদানি
বাড়েনি বলে জানি য়েছেন নগরের পোর্ট রোপস্থ বেসরকারি মৎস অবতরণ
কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা।