বরিশালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবার্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৫শত ৬৮ শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এবছর জিপিএ-৫ বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার। বোর্র্ডে পাশের হার শতভাগ। তবে পরীক্ষাবিহীন ফলাফল পেয়ে খুব একটা খুশি নয় তুলনামূলক ভালো মানের শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষাবিদরা বলছে প্যান্ডামিকের কারণে সরকার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা মেনে নিয়েছে সবাই।
শনিবার বেলা পৌনে ১১ টায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন সাংবাদিকদের হাতে পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলো ৬৮ হাজার ৯ শত ২০ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৫শত ৬৮ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ২০১ জন। গতবারের তুলনায় এবারে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ৪ হাজার ৬৬৭ টি বেশি।
বরিশালের অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শংকর কুমার পাল বলেন, ফল প্রকাশের দিন কলেজে এক ধরণের উৎসব বসতো। করোনার কারণে সেই সুয়োগ ঘটেনি। প্যান্ডমিকের কারণে এর কোন বিকল্প ছিল না। তবে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাধ্যমে ফল পেলে আরো খুশি হতে পারতো। তবে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা এবং পরবর্তী জীবনে অবশ্যই তারা সেই সুযোগ পাবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন বলেন, এবারের ফলাফলে কেউ হাতাশ হবে না। তারপরও ফলাফলের ব্যাপারে কারো আপত্তি থাকলে টেলিটকের মাধ্যমে রিভিউ করার সুযোগ পাবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো জানান, আগের বছরগুলোতে পুননীরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয়ের জন্য পৃথক পৃথক টাকা দিতে হতো। এবারে মোট ১২৫ টাকায় তা হয়ে যাব।
এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছে পরীক্ষাবিহীন রেজাল্ট তাদেরকে আনন্দিত করতে পারেনি খুব একটা। এতে যথাযথ মূল্যায়ন হয় না বলে ধারণা তাদের।
বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী শামরী রহমান শুচি জানায়, আামরা গত দুই বছর পড়াশুনা করেও পরীক্ষা দিতে পারিনি সেজন্য আমাদের আফসোস রয়েছে। পরীক্ষা দিয়ে ফল পেলে খুবই ভালো লাগতো। তবে করোনার কারণে আমাদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অবশ্যই আমাদের চেষ্টা থাকবে ভর্তি পরীক্ষায় নিজেকে প্রমাণ করার।
অন্য শিক্ষার্থী মিতু রানী বিশ^াস জানায়, পরীক্ষা না দিয়ে ফল পাওয়া খুব একটা আনেন্দের নয়। তারপরও দীর্ঘদিন পর ফল প্রকাশ হওয়ায় অন্তত একটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কিছুটা হলেও পরীক্ষা না দেওয়ার কষ্ট লাঘব হবে।