বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে রোগীর মৃত্যু
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৪০ বছর বয়সী এক রোগী মারা গেছেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় পুরো ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়েছে। ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও নার্সদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে ৪০ বছর বয়সী এক রোগী হাসপাতালের নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়। পরে তার মধ্যে করোনা উপসর্গ লক্ষ্য করায় তাকে ১৬ এপ্রিল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিরাপত্তা সহকারে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি তথ্য গোপন করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে এক রোগী ভর্তি হওয়ায় পুরো ওয়ার্ড লকডাউন এবং ওই ইউনিটের চিকিৎসক-নার্সসহ ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন ওই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্বজনরা সর্দি-কাশির তথ্য গোপন করায় গত ১৩ এপ্রিল হাসপাতালে আসা এক রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়।
গত বুধবার তার এক্স-রে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় এবং রোগীকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে পাঠায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে পজিটিভ পাওয়া যায়। এর পরপরই হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড সাময়িক লকডাউন এবং ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক, নার্স সহ ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে গতকাল রাত পর্যন্ত বরিশাল জেলায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪জন।
এ ছাড়া জেলার মুলাদীর নিজ বাড়িতে গত সোমবার জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে মারা যাওয়া এক সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট গত বুধবার পজিটিভ হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২০ জন রোগী আছেন। যার মধ্যে সাতজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।