বরিশালে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ, শনাক্তের হার ৫৯.০৪

বরিশালে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। রোববার সকাল পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সর্বাধিক সংখ্যক ২১০জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। বিগত ২৪ ঘন্টায় এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৪জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবেও বাড়ছে করোনা শনাক্তের হার। সবশেষ গত শনিবার রাতের রিপোর্টে করোনা শনাক্তের হার ছিলো ৫৯ দশমিক শূন্য ৪ ভাগ। এই শনাক্তের হার যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যুর মিছিল। সব শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয়েছে ৪ জন রোগীর। এর মধ্যে ২ জনের করোনা ছিলো পজেটিভ। গত ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯জন রোগী। একই সময়ে করোনা ওয়ার্ডে ৫১জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ২২টি আইসিইউ বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২জন রোগী। সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন ২১০ জন রোগী। যা গত বছর মার্চে করোনা ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠার পর সর্বাধিক সংখ্যক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।
করোনা ওয়ার্ডে শয্যা সংখ্যা ছিলো ২০০টি। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় গত শনিবার ৫০টি শয্যা বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন করোন ওয়ার্ডে মোট শয্যা ২৫০টি।
এদিকে মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবেও বেড়েছে করোনা শনাক্তের হার। সবশেষ গত শনিবার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে ১৮৮ জনের নমূনা পরীক্ষায় ১১০ জনের করোন শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৯ দশমিক শূন্য ৪ ভাগ। এই শনাক্তের হার যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে শুক্রবার রাতের রিপোর্টে শনাক্তের হার ছিলো ৫৪ দশমিক ৭৩ ভাগ এবং বৃহস্পতিবার রাতের রিপোর্টে শনাক্তের হার ছিলো ৫৩ দশমিক ৩৬ ভাগ।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, বরিশাল সীমান্তবর্তী এলাকা না হলেও লকডাউন শুরুর আগে সীমান্তবর্তী যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার মানুষ সচরাচর এই এলাকায় চলাচল করেছে। এছাড়া মানুষও স্বাস্থ্যবিধি মানতে তেমন একটা সচেতন ছিলো না। এ কারণে বরিশালে করোনা সংক্রামণের হার বাড়ছে। তবে চলমান লকডাউনের কারণে আগামী কয়েক দিনে করোনা সংক্রামণের হার কমতে পারে।