বরিশালে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৯ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বরিশালে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৯টি প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জেলা প্রশাসনের পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় একটি ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর বিসিক এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের গোডাউন সিলগালা করে দেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা র্যাবের সহায়তায় এবং অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রাব্বী পুলিশের সহায়তায় নগরীর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
মো. নাজমুল হুদার ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর কাটপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপ্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক দোকান খোলা রাখায় ওবায়দুর রহমানকে ৪ হাজার ও সোহরাব হোসেনকে ৫০০ টাকা, নগরীর পদ্মাবতি এলাকায় কাপড়ের দোকান খোলা রেখে লোক সমাগম করায় হারুন অর রশিদের দোকান থেকে ১৫ হাজার, মাজাহারুল ইসলামের দোকান থেকে ১০ হাজার এবং জনৈক মো. আলমগীরের কাপড়ের দোকান থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পরে নাজমুল হুদার ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর কাউনিয়া বিসিক শিল্প নগরীতে গিয়ে ‘জরুরী ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের’ স্টিকার লাগিয়ে কোন ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়া অপ্রয়োজনীয় মালামালের গোডাউন খোলা রেখে অনেক শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিলো। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গোডাউন খোলা রেখে জনসমাগম করায় বিসিকের মাহাদী এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার ও সোমা এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং একই সঙ্গে গোডাউন দুটি সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করে সরকারি কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে মো. জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে মো. আতাউর রাব্বীর ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর চাঁদমারী পুলিশ অফিসার্স মেস এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় একটি সেলুন থেকে ৫০০ এবং একটি চা দোকান থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করেন এবং এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী নিজ নিজ ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার সুব্রত কুমার বিশ্বাস।