বরিশালে তরুনীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন দন্ড

বরিশালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আফজাল বেপারী নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার ভরন-পোষণের যাবতীয় ব্যয় ভার রাস্ট্রকে বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ গতকাল রবিবার ওই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত আফজাল বেপারী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
রায়ে আদালত দ-প্রাপ্ত আসামী আফজাল বেপারীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটির ভরন-পোষণ নির্ধারণ করে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির অর্জিত সম্পদ থেকে আদায়ের জন্য রাস্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি শিশুটি তার মা অথবা বাবা কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার অধিকার রাখে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত আফজাল বেপারী গৌরনদী উপজেলার পূর্ব ডুমুরিয়া এলাকার কামাল বেপারীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুনী আফজাল বেপারীর প্রতিবেশী।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, আফজাল ও ওই তরুনীর বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুনীকে ধর্ষণ করে আফজাল। এতে ওই তরুনী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ওই তরুনী আফজালকে জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আফজাল বেপারী টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই তরুনীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে আফজাল। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা এ ঘটনায় সালিশ-মিমাংসায় ব্যর্থ হলে আফজালের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি গৌরনদী থানায় মামলা করে ওই তরুনী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম মৃধা ২০১০ সালের ৩ মার্চ একমাত্র আফজালকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহল শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল ওই আদেশ দেন।