বরিশালে তানজিলা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বরিশালের অন্তস্বত্ত্বা মেয়ে তানজিলাকে লক্ষিপুরে স্বামীর বাড়িতে অত্যাচার নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছ। ওই হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার বেলা ১১ টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদররোডে বরিশালের সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজনন, সাবেক সহপাঠি শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেয়। এসময় তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত স্বামীসহ সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ফাঁসির দাবি করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজ, বরিশাল জমজম হেলথ ইনষ্টিটিউট এবং ঢাকা ইডেন কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী ও বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোক কণ্ঠ শিল্পি ও বরিশাল নগরের ভাটিখানার মেয়ে তানজিলা রহমান খান। তাকে লক্ষিপুরের শশুরবাড়িতে যৌতুকের টাকার দাবিতে হত্যা করা হয়।
৩ মাসের অন্তস্বত্ত্বা তানজিলা রহমান খানের হত্যাকারীদের বিচারের প্রত্যশা কামনা করে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তানজিলার বাবা মো. সাইদুর রহমান, মা রুনু খান, বাসদ বরিশাল জেলার শাখার আহবায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবীব রুমন, জেলার সদস্য সচিব ডা. মনিষা চত্রবর্তী, নারী নেত্রী হাসিনা বেগম নিলা, মো. হাসান বেপারী, মাসুমা বেগম, জাকিয়া সুলতানা লিপা ও সাইদুল ইসলাম লিপা প্রমুখ।
জানা যায়, ২০১৬ সালে লক্ষিপুর জেলার, রামগঞ্জ উপজেলার সাইদেরখিল গ্রামের মোল্লা বাড়ির ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে তানজিলার বিয়ে হয়। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সামাজিক আনুষ্ঠিকভাবে তানজিলাকে শশুর বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ডিসেম্বর মাসে জহিরুল বেকার থাকায় তানজিলার কাছে ৫লাখ টাকা দাবী করে। মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে বাবা সাইদুর রহমান ২ লাখ টাকা দেয়। বাকী ৩ লাখ টাকার জন্য শশুর-শাশুরী, চাচী শাশুরী ও দেবরের প্ররোচনায় নির্যাতন শুরু হয় তানজিলার উপর। গত ৮ আগস্ট সকালে তানজিলার স্বামী জহিরুল বরিশালে ফোন করে জানায় তানজিলা চেয়ার থেকে পড়ে অচেতন হয়ে গেছে। এ সংবাদ পেয়ে তানজিলার ভাই ও ২ মামা সহ ৯জন তানজিলার শশুর বাড়িতে যাবার পূর্বে স্থানীয় থানায় বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ ওইদিন বিকেল ৩ টার দিকে তানজিলার মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্বামী জহিরুল ইসলামকে আটক করে। এব্যাপারে তানজিলার ভাই সাইফুর রহমান ৯ আগস্ট বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।