বরিশালে নেশাজাতীয় ইনজেকশন বিক্রির দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

বরিশালে ওষুধ ব্যবসার আড়ালে নেশাজাতীয় ইনজেকশন ব্যবসার দায়ে ২জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার আরেক আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে আসামীদের উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত রূপম দাস নগরীর সদর রোডের জামাল মেডিকেল হলের কর্মচারী এবং চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার মৃত সারদা মোহন দাসের ছেলে। দন্ডপ্রাপ্ত অপরজন রাসেল খলিফা সদর উপজেলার বিল্ববাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান খলিফার ছেলে। সে বিভিন্ন স্থানে নেশাজাতীয় ইনজেকশন সরবরাহ করতো।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওষুধের আড়ালে মাদক বিক্রির খবর পেয়ে ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ নগর গোয়েন্দা পুলিশ সদর রোডের জামাল মেডিকেল হলে অভিযান চালায়। এ সময় জামাল মেডিকেল হলের সামনে থেকে রাসেল খলিফাকে ৭০ পিস জি-মরফিন ইনজেকশনসহ আটক করে তারা। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ওষুধের দোকান কর্মচারী রূপমের কাছ থেকে আরও ৪০০ পিস জি-প্যাথেডিন এবং ১০০ পিস জি-মরফিন ইনজেকশন উদ্ধার করে তারা।
এ ঘটনায় গোয়ন্দা পুলিশের এসআই আহসান কবির বাদি হয়ে ওই দিনই রূপম, রাসেল ও ওষুধের দোকানের অপর কর্মচারী দীলিপ দাসের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা গোয়ন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ২৬ এপ্রিল ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল আদালত রূপম ও রাসেলকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং দীলিপকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন।