বরিশালে পাখি মেলা

বরিশালে পাখি মেলা

‘মাদকাসক্ত কিংবা অন্ধকার জগতে যেসব সন্তানরা গেছে তাদের আলোর জগতে ফিরিয়ে আনতে একজোড়া ‘বাজেরিগার পাখি’ উপহার দিন, পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ করুন- আপনার সন্তান আলো পথে ফিরে আসবেই’। এমন দৃঢ় বিশ্বাস বরিশালের পাখিপ্রেমী মাসুদ পারভেজের। যিনি বরিশাল কেইজ বার্ড এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং যার সংগ্রহশালায় রয়েছে বিভিন্ন জাতের ও রংয়ের ৩ শতাধিক ‘বাজেরিগার পাখি।

নতুন প্রজন্মকে আলো পথে নেয়ার পাশাপাশি পাখি সম্পর্কে তাদের জানা এবং ভালোবাসা সৃস্টির মাধ্যমে পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ করতে প্রথমবারের মতো বরিশালে আয়োজন করা হয় ‘বাজেরিগার পাখি’ প্রদর্শনী।

বরিশাল নগরীর একে ইন্সটিটিউটে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সরকারী ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত পাখি মেলায় প্রচুর পাখিপ্রেমী ভীর জমায়। প্রথমবারের মতো পাখি মেলা আয়োজনে মুগ্ধ তারা।

দিনব্যাপী এই মেলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১২৫টি পাখি ঘর অংশ গ্রহন করে। পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গন। ‘বাজেরিগার’ পাখি মেলায় নানা রঙের পাখি দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।

দর্শনার্থী লিজা আক্তার বলেন, একসাথে এত পাখি দেখে তিনি মুগ্ধ। পাখি মেলায় অসাধারন অনুভূতি পেয়েছেন।

আরেক দর্শনার্থী পাভেল রহমান জানান, এই মেলায় পাখি বিক্রি হয় না বলে কিনতে পারছেন না। তবে চিনতে পেরেছেন।

তাসনিম জেরিন নাসিমা বলেন, তিনি বাসায়ও পাখি পালন করেন। তবে বাঁচ্চাকে একসাথে এত পাখি দেখাতে পেরে পাখির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে তিনি আনন্দিত।

সৌরভ হোসেন বলেন, মেলায় শুধু বাজেরিগার পাখি প্রদর্শন হয়েছে। কিন্তু শুধু বাজেরিগার পাখি দেখেছেন অনেক প্রজাতির এবং রংয়ের। তিনি প্রথমবারের মতো আয়োজিত পাখি মেলায় আসতে মেরে আনন্দিত এবং মুগ্ধ।

মেলার আয়োজক বরিশাল কেইজ বার্ড এসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ পারভেজ জানান, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন অন্ধকার জগতে পা বাড়ানো সন্তানকে একজোড়া বাজেরিগার পাখি উপহার দিন, তাকে পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ করুন, তিনি অবশ্যই আলোর জগতে ফিরে আসবে। তরুনরা যাতে পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ হয় এবং তারা যাতে পাখি সম্পর্কে জানতে পারে তারা যাতে পাখি প্রেমী হয়- সেই লক্ষ্যেই দিনব্যাপী (সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা) এই মেলার আয়োজন করা হযেছে বলে জানান পাখিপ্রেমী মাসুদ পারভেজ।